এলএনজি ক্রয়-বিক্রয়ে মার্কিন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পেট্রোবাংলার চুক্তি

সংগৃহীত ছবি

এলএনজি ক্রয়-বিক্রয়ে মার্কিন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পেট্রোবাংলার চুক্তি

অনলাইন ডেস্ক

পেট্রোবাংলা ও যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলরেট এনার্জির মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি ক্রয়-বিক্রয়, এমএলএনজি সম্প্রসারণ ও পায়রা টার্ম শিট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ বুধবার (৮ নভেম্বর) ঢাকার একটি হোটেলে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।  

চুক্তিটিতে পেট্টোবাংলার বোর্ড সচিব রুচিরা ইসলাম এবং যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলরেট এনার্জির এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট র্যামন ওয়াংদি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।  

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম বলেছেন, বিগত ৩ বছরে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশকে শুধু জ্বালানি খাতেই অতিরিক্ত ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করতে হয়েছে।

আমাদের অর্জনগুলো সুসংগঠিত করতে পারলে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করা সময়ের ব্যাপার মাত্র। জ্বালানির বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সৌর বিদ্যুৎ হতে ১১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।  

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জ্বালানির উন্নয়ন ও জ্বালানি সহযোগিতা পাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্মল মডিউলার রিঅ্যাকটর (Small Modular Reactor) বাংলাদেশের জন্য কার্যকর হতে পারে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের যথাযথ বিকাশের জন্য আগামী ১০ বছরে ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। প্রযুক্তিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। বিশাল বিনিয়োগের সুযোগ হবে। গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানের কাজেও ব্যাপক বিনিয়োগ আসবে। বিশ্বের নামি দামি কোম্পানিগুলোর আগ্রহ ব্যাপক।  

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিগত ১৫ বছরে বংলাদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অগ্রগতি লক্ষণীয়। বার্ষিক কর্মসম্পাদন বা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগ ঈর্ষণীয় সাফল্য দেখায়। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। এখন সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্পন্ন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পৌঁছানই একটি চ্যালেঞ্জ।  

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের সঙ্গে থেকে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য সরকার নিবেদিত হয়ে কাজ করছে।  

উল্লেখ্য, দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণে এলএনজি আমদানি এবং রিগ্যাসিফিকেশনের মাধ্যমে গত আগস্ট-২০১৮ এ সর্বপ্রথম জাতীয় গ্যাস গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু করা হয়। দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে এলএনজি সরবরাহে আগ্রহী প্রতিষ্ঠান হতে এলএনজি আমদানির লক্ষ্যে একটি স্টান্ডার্ড এসপিএ প্রস্তুত করা হয়েছে। মহেশখালীতে স্থাপিত প্রতিটি ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ ক্ষমতার দুটি এফএসআরইউ-এর মাধ্যমে এলএনজি গ্রহণ ও আরএলএনজি সরবরাহের কাজ করা হচ্ছে।  

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, পেট্টোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বক্তব্য রাখেন।

news24bd.tv/আইএএম