নবীজি (সা.) কুধারণা দূর করা প্রসঙ্গে যা বলেছেন

প্রতীকী ছবি

নবীজি (সা.) কুধারণা দূর করা প্রসঙ্গে যা বলেছেন

 বাশির নাজির

পরিবার, সংসার ও প্রতিষ্ঠান-সব তছনছ হয়ে যায় সন্দেহ ও কুধারণায়। ইসলামে কুধারণা পাপ। কোনো মানুষের প্রতি খারাপ ধারণা পোষণ করা সমীচীন নয়। কেননা এতে মানুষ কষ্ট পায়।

বরং মুমিনের প্রতি সুধারণা পোষণ করা কর্তব্য। আল্লাহ বলেন, ‘হে বিশ্বাসীরা! তোমরা অধিক ধারণা করা থেকে বিরত থাক। নিশ্চয়ই কিছু কিছু ধারণা পাপ। ’ (সুরা : হুজুরাত, আয়াত : ১২)

সাফিয়্যাহ বিনতে হুয়াই (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) ইতিকাফ অবস্থায় ছিলেন।

আমি রাতে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এলাম। অতঃপর তাঁর সঙ্গে কিছু কথা বললাম। অতঃপর আমি ফিরে আসার জন্য দাঁড়ালাম। তখন আল্লাহর রাসুল (সা.)-ও আমাকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমার সঙ্গে ওঠে দাঁড়ালেন।

তাঁর বাসস্থান ছিল ওসামা ইবনে জায়েদের বাড়িতে। এ সময় দুজন আনসারি সে স্থান দিয়ে অতিক্রম করল। তারা যখন নবী (সা.)-কে দেখল তখন তারা দ্রুততার সঙ্গে চলে যেতে লাগল। তখন নবী (সা.) বলেন, তোমরা একটু থামো। এ হচ্ছে সাফিয়্যা বিনতে হুয়াই (রা.)।

তারা বলল, সুবহানাল্লাহ! হে আল্লাহর রাসুল। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, মানুষের রক্তধারায় শয়তান প্রবহমান থাকে। আমি শঙ্কাবোধ করছিলাম, সে তোমাদের মনে কোনো খারাপ ধারণা অথবা বললেন অন্য কিছু সৃষ্টি করে কি না। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩২৮১)

কারো ব্যাপারে এমন কোনো কথা বলা নিষিদ্ধ, যাতে তার ব্যাপারে মন্দ ধারণা তৈরি হয়। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমার সাহাবিদের কেউ যেন তাদের অপরজনের কোনো খারাপ কথা আমার কাছে না পৌঁছায়। কারণ আমি তাদের সঙ্গে পরিষ্কার ও উদার মন নিয়েই দেখা করতে ভালোবাসি। (জামে তিরমিজি, হাদিস : ৩৮৯৬)
 

এই রকম আরও টপিক