বাঁচা-মরার ম্যাচে ১৭১ রানে অলআউট শ্রীলঙ্কা 

সংগৃহীত ছবি

বাঁচা-মরার ম্যাচে ১৭১ রানে অলআউট শ্রীলঙ্কা 

অনলাইন ডেস্ক

২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জায়গা পেতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের কোনো বিকল্প নেই শ্রীলঙ্কার সামনে। তবে বাঁচা-মরার সেই ম্যাচে বেঙ্গালুরুতে আগে ব্যাট করে ১৭১ রানেই থেমেছে দলটির রানের চাকা। অর্থাৎ, বোলাররা অতিমানবীয় কিছু করে দেখাতে না পারলে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা হচ্ছে না লঙ্কানদের।

আজ বৃহস্পতিবার এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে শ্রীলঙ্কা।

দ্রুত রান তোলার নেশায় প্রথম পাওয়ারপ্লে শেষ না হতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে লঙ্কানরা। তখন দলের রান মাত্র ৭০। এরপর শ্রীলঙ্কা এতদূর গেছে লোয়ার অর্ডারের কল্যাণে। শেষ উইকেট জুটিতেই তিকশানা ও মাদুসাঙ্কা মিলে যোগ করেন ৪৩ রান।

ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ২ রান করেই টিম সাউদির শিকার হয়ে ফিরে যান পাতুম নিসাঙ্কা। পঞ্চম ওভারে আঘাত হানেন ট্রেন্ট বোল্ট। ৬ রানেই তিনি ফেরান কুশল মেন্ডিসকে। একই ওভারে সাদিরা সামারাবিক্রমাকেও (১) ফেরান বোল্ট।

৩২ রানে ৩ উইকেট হারালেও রান তোলার গতি কমায়নি শ্রীলঙ্কা, আলাদা করে বললে কুশল পেরেরা। শুরু থেকেই মেরে খেলছিলেন তিনি। মাত্র ২২ বলেই অর্ধশতক তুলে নেন তিনি। কিন্তু ফিফটির পরেই কাটা পড়েন এই বাঁহাতি। চরিথ আসালাঙ্কাকে ব্যক্তিগত ৮ রানে বোল্ট নিজের তৃতীয় শিকার বানানোর পরের ওভারে ৫১ রান করে লকি ফার্গুসনকে উইকেট দেন পেরেরা।  

এরপর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ-ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার লড়াইয়ের চেষ্টা করলেও জুটি বড় করতে পারেননি। ম্যাথুজ ১৬ আর ডি সিলভা ১৯ রানে আউট হন। দুজনকেই ফেরান মিচেল স্যান্টনার। এরপর চামিরা করুনারত্নে (৬) ও দুশমন্ত চামিরা (১) অল্প সময়ের মধ্যে ফিরলেই ১২৮ রানে ৯ উইকেট হারায় লঙ্কানরা।  

তবে শেষ জুটিতে কিউই বোলারদের অস্বস্তিতে ফেলেন তিকশানা-মাদুসাঙ্কা। ১৬ ওভার ব্যাটিং করে এই জুটি। শেষে মাদুসাঙ্কাকে ফিরিয়ে রাচিন রবীন্দ্র ব্রেকথ্রু এনে দিলে স্বস্তি পায় নিউজিল্যান্ড। এর আগে চামিরাকেও ফেরান রাচিন। করুনারত্নের উইকেট নিয়েছিলেন লকি।

news24bd.tv/SHS