বিএনপি-জামায়াত গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না: প্রধানমন্ত্রী

সংগৃহীত ছবি

বিএনপি-জামায়াত গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আবার আগুন সন্ত্রাস শুরু হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। মানুষ পুড়িয়ে তারা উল্লাস করে। এদের প্রতি ঘৃণা।

যখন মানুষ স্বস্তিতে আছে, উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখছে; তখন তারা এগুলা করছে।  

বৃহস্পতিবার (০৯ নভেম্বর) গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

কী কারণে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে- প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, পুলিশ হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলা, হাসপাতালে হামলা যারা করবে, তাদের গ্রেপ্তার করবো না- কী করবো? যারা গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে বলছে, তাদের দেশে কী করে? আওয়ামী লীগ তো কখনো মানুষ পুড়িয়ে আন্দোলন করে না।

তিনি বলেন, দেশের এই উন্নয়ন অনেকের সহ্য হচ্ছে না।

পোশাক শ্রমিকদের রাস্তায় নামানো হয়েছে। খবর আছে ওরাই পোশাক শ্রমিকদের ক্ষতি করবে। দেশকে আরও অস্থিতিশীল করবে।  

 প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের জন্যই আমাদের সংগ্রাম। সরকারি অফিসারদের বেতন ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। পোশাক শ্রমিকদের মজুরি ৫৬ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। যারা পোশাক শ্রমিকদের উসকানি দিচ্ছে, তারাই লাশ ফেলবে।

সরকারপ্রধান বলেন, নীতি আদর্শ ভুলে ডানপন্থী-বামপন্থীরা এক হয়েছে। আওয়ামী লীগের অপরাধ কী- দেশবাসীর কাছে জানতে চাই।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনের হাসপাতালে হামলা করে ইসরায়েল। আর দেশে বিএনপি-জামায়াত হাসপাতাল ভাঙচুর, অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দেয়। দেশকবাসীকে আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। দেশবাসী সিদ্ধান্ত নিক জঙ্গি, আগুন সন্ত্রাস, বোমা হামলাকারী, দুর্নীতিবাজ চায় কি না।

শেখ হাসিনা বলেন, অশান্তির হাত থেকে দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে। নির্বাচন মানুষের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার। সুষ্ঠু, অবাধ, নির্বাচন আমাদের লক্ষ্য। অনেক জরিপে দেখা গেছে, ৭০ ভাগ মানুষ আওয়ামী লীগের ওপর নির্ভরতা, আস্থা, বিশ্বাস রাখে। জনগণের আস্থা-বিশ্বাস-আওয়ামী লীগের ওপর। প্রত্যেক এলাকার উন্নতি করেছে আওয়ামী লীগ।  

তিনি বলেন, চক্রান্ত ও অগ্নিসন্ত্রাস করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। অগ্রযাত্রা যেন কোনো মতে থেমে না যায়। ১৩-১৪ তে জনগণ প্রতিরোধ করেছিল। আবার প্রতিরোধ করতে হবে জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের।

news24bd.tv/আইএএম