বরগুনায় বাস পোড়ানো মামলায় ৯ জন কারাগারে

সংগৃহীত ছবি

বরগুনায় বাস পোড়ানো মামলায় ৯ জন কারাগারে

অনলাইন ডেস্ক

বরগুনার আমতলীতে বাস ভাঙচুর ও পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পোড়ানোর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার নয়জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকালে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

বাস পোড়ানোর ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ৬৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও অনেককে আসামি করে আমতলী থানায় মামলাটি করেন ওই বাসটির চালক মো. বাবুল হোসেন।  

মামলার পর গ্রেপ্তার হওয়া ও জেল হাজতে যাওয়া ওই নয়জন হলেন- বশির হাওলাদার, মাসুম হাওলাদার, কাওছার হাওলাদার, লোকমান হাওলাদার, আলামিন প্যাদা, খবির হাওলাদার, বাবুল হাওলাদার মাসুম তালুকদার ও আবুল হাওলাদার।

আমতলী থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিএনপি-জামায়াতের দ্বিতীয় দফা অবরোধ চলাকালে গত বুধবার (৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আমতলীর আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের আরপাঙ্গাশিয়া বাজার এলাকায় সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে সাকুরা (ঢাকা মেট্টো-ব- ১১-৮৫৭১) পরিবহনের একটি বাসের গতি রোধ করে প্রথমে ভাঙচুর করে ও পেট্টল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।  

এতে বাসটিতে সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। বাসটি ওইদিন রাত ৯টার দিকে বরগুনার তালতলী উপজেলা থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে আসছিল। ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার সময় বাসে থাকা যাত্রী, সুপার ভাইজার ও চালক নেমে যেতে পারায় সবাই জীবনে রক্ষা পান।

এ ঘটনায় বাসটির চালক মো. বাবুল হোসেন বৃহস্পতিবার বিকেলে বাদী হয়ে আমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।  

মামলায় ৬৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অনেককে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মামলার পর পরই পুলিশ বিভিন্ন স্থান থেকে নয়জনকে গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

মামলার বাদী বাসচালক বাবুল হোসেন বলেন, সেদিন যে ভাবে বাস ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে, তাতে বাঁচার কোনো উপায় ছিল না যাত্রীসহ আমাদের। আল্লাহর দয়ায় কোনো রকম জীবনে রক্ষা পেয়েছি। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তার হওয়া নয়জনের মধ্যে বশির, খবির ও আলামিনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাখয়াত হোসেন তপু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

news24bd.tv/কেআই