গাজীপুরের কোনাবাড়ী ও ঢাকার সাভারের আশুলিয়ার ২৫টি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। শ্রমিক বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ঘটনায় এগুলো বন্ধ করা হয়েছে। শিল্প পুলিশের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান।
শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনায় গাজীপুরের কোনাবাড়ী, জরুন, কাশিমপুর ও ভোগড়া এলাকায় ১৪টি পোশাক তৈরির কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক মো. রেজাউল বলেন, গাজীপুরে ২ হাজার ২৩১টি পোশাক কারখানা আছে। এর মধ্যে শুক্রবার ২৪৫টি কারখানা চালু ছিল।
শুক্রবার সকালে কোনাবাড়ী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বৃহস্পতিবারের হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তুষুকা কারখানা। কারখানাটির সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের বিজ্ঞপ্তি সাঁটানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তুষুকা জিনস লি., তুষুকা ট্রাউজার্স লি., তুষুকা প্রসেসিং লি., তুষুকা প্যাকেজিং লি. ও নিডেল আর্ট এমব্রয়ডারি লিমিটেডের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের জানানো যাচ্ছে যে বৃহস্পতিবার অজ্ঞাতনামা কিছু উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিক অযৌক্তিক দাবিতে বেআইনিভাবে কর্মবিরতি পালন করে কর্মকর্তাদের মারধর করে, কারখানার ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুর ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এমতাবস্থায় কারখানা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং কারখানার সম্পত্তি রক্ষার স্বার্থে কারখানার সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ ছাড়া কোনাবাড়ীর আমবাগ রোডের এমএম নিটওয়্যার লিমিটেড ও কোনাবাড়ী জরুন এলাকার ইসলাম গ্রুপের তিনটি কারখানার সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বুধবার শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনায় ইসলাম গ্রুপের নারী শ্রমিক মোসা. আঞ্জুয়ারা খাতুন মারা যান।
এদিকে গতকাল আশুলিয়ার কাঠগড়া, বড় রাঙামাটিয়া, নরসিংপুর, নিশ্চিন্তপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি কারখানার মূল ফটকে টাঙানো হয়েছে বন্ধের নোটিশ। আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এখন পর্যন্ত (গতকাল রাত সাড়ে ৯টা) ১১টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
news24bd.tv/আইএএম
