দক্ষিণ এশিয়ায় ‘বাণিজ্যিক হাব’ হবে মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দর

সংগৃহীত ছবি

দক্ষিণ এশিয়ায় ‘বাণিজ্যিক হাব’ হবে মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দর

অনলাইন ডেস্ক

রেল, স্থল ও আকাশ পথই শুধু নয়, সমুদ্রপথে যোগাযোগ উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে সরকার। কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে নির্মিতব্য গভীর সমুদ্রবন্দর-এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এই বন্দর দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম ট্রান্সশপিমেন্ট বন্দর হবে। এটি দক্ষিণ এশিয়ায় বাণিজ্যিক হাব হবে।

আজ শনিবার (১১ নভেম্বর) এই সমুদ্রবন্দরের চ্যানেল উদ্বোধন এবং প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এই সমুদ্রবন্দরকে—সিঙ্গাপুর, কলম্বো, কিংবা পোর্ট কেলাংয়ের মতো দক্ষিণ এশিয়ার ট্রান্সশপিমেন্ট বন্দর হিসেবে ব্র্যান্ডিং করা হবে।  চট্টগ্রাম বন্দর অর্থনীতির লাইফ লাইন, মাতারবাড়ী বন্দরও হবে প্যারালাল অর্থনীতির লাইফ লাইন। বাংলাদেশের অর্থনীতি তথা জিডিপিতে ২-৩ শতাংশ অবদান রাখবে।

কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে ১ হাজার ৩১ একর জায়গাজুড়ে বন্দর নির্মাণ করা হয়েছে। ২০২৬ সালে এই বন্দর চালুর লক্ষ্য কর্তৃপক্ষের।

মাতারবাড়ী বন্দরের সুবিধা

মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দর চালু হলে লোডিং-আনলোডিং খরচ কমবে। আমদানি-রফতানির সময়টাও কমে যাবে। চ্যানেলের গভীরতা ১৮ মিটার হওয়ায় সাড়ে ৮ হাজার কন্টেইনার বহনকারী বড় আকারের জাহাজ ভিড়তে পারবে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় একটি পণ্যের চালান পাঠাতে সময় লাগে ৪৫ দিন। মাতারবাড়ী বন্দর চালু হলে মাত্র ২৩ দিনেই সরাসরি নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছে যাবে।

চ্যানেলের আদ্যোপ্রান্ত

গভীর সমুদ্রবন্দরটি নির্মাণে খরচ হচ্ছে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা- জাইকা দিচ্ছে ১২ হাজার ৮৯২ কোটি টাকা। ৩৫০ মিটার প্রশস্ত ও ১৬ মিটার গভীরতাসম্পন্ন ১৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের নির্মাণকাজ শেষ। অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের উত্তর পাশে ২ হাজার ১৫০ মিটার দীর্ঘ ও দক্ষিণ পাশে ৬৭০ মিটার দীর্ঘ ব্রেক ওয়াটার (ঢেউ নিরোধক বাঁধ) নির্মাণ হয়েছে।
২৭.৭ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে মাতারবাড়ী বন্দরের সঙ্গে ন্যাশনাল হাইওয়ের সংযোগ
স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ।

২০২৬ সালে ০.৬ থেকে ১.১ মিলিয়ন টিইইউস (২০ ফুট দৈর্ঘ্যের কন্টেইনার) হ্যান্ডেল করা যাবে। ২০৪১ সালের মধ্যে ২.২ থেকে ২.৬ মিলিয়ন টিইইউস কন্টেইনার কার্গো হ্যান্ডেল করা সম্ভব হবে।
 news24bd.tv/আইএএম

এই রকম আরও টপিক