বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধ ঘিরে নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগ। মিছিলের একাংশের সামনে আগ্নেয়াস্ত্রসহ এক ব্যক্তিকে অংশ নিতে দেখা গেছে। শান্তিপূর্ণ মিছিল ও সমাবেশ ছাপিয়ে এলাকায় এখন আলোচনা চলছে মিছিলের সামনে থাকা অস্ত্রধারীকে নিয়ে।
রোববার (১২ নভেম্বর) দুপুরে স্থানীয় সরকারি শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজ মাঠ থেকে মিছিলটি বের করে আওয়ামী লীগ।
এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শাহান, আব্দুস সালামের মেয়ে ওয়াহিদা হোসেন রূপাসহ আওয়ামী লীগের কয়েক শ নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মিছিলে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের হাতে একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার বিরুদ্ধে প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে। মিছিলে অস্ত্র নিয়ে অংশ নেওয়ার বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শাহান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এই অস্ত্রের লাইসেন্স আছে।
তিনি প্রতিবেদকের কাছে অস্ত্রের লাইসেন্সের একটি কপি পাঠিয়েছেন। যাতে দেখা গেছে, ওই অস্ত্রের মালিকের নাম মো. কামরুজ্জামান। অস্ত্রটির নাম ১২ বোর শটগান। তবে এই লাইসেন্সটিই যে মিছিলে থাকা যুবকের হাতের অস্ত্রের লাইসেন্স তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুজ্জামান বলেন, তাঁকে আওয়ামী লীগের নেতারা একটি অস্ত্রের লাইসেন্সের কপি দিয়েছেন। তিনি সেটা ইউএনওকে পাঠিয়েছেন। ইউএনও তাঁকে নিশ্চিত করেছেন অস্ত্রের লাইসেন্স যার নামে তিনিই মিছিলে অংশ নেওয়া যুবক কামরুজ্জামান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কামরুজ্জামান পেশায় জাহিদ হাসান প্রীতমের দেহরক্ষী। জাহিদ হাসান প্রীতম আব্দুস সালামের মেয়ে ওয়াহিদা হোসেন রূপার স্বামী। কামরুজ্জামান ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার মীরহাজারীবাগ এলাকার বাসিন্দা। তিনি বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ থানার কুমারখালী গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
অস্ত্রধারী ব্যক্তির বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মো. মাছুম আহম্মেদ ভূঁইয়া সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এভাবে মিছিলের অগ্রভাগে অস্ত্র নিয়ে থাকা প্রাথমিকভাবে বেআইনি বলে মনে হচ্ছে। লাইসেন্স থাকলেও কিছু শর্ত থাকে। সেসব শর্ত লঙ্ঘন হয়েছে কি না, সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। ’
উল্লেখ্য, বিএনপি-জামায়াতের হরতাল অবরোদের প্রতিবাদে সারাদেশে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ-মিছিল অব্যাহত রেখেছে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
news24bd.tv/আইএএম
