শাকিবের নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন এই অভিনেত্রী 

সংগৃহীত ছবি

শাকিবের নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন এই অভিনেত্রী 

অনলাইন ডেস্ক

সম্প্রতি বড় পর্দায় অভিষেক হয় অভিনেত্রী সায়মা স্মৃতি'র। ‘যন্ত্রণা’ সিনেমা দিয়েই বড় পর্দায় অভিষেক হয় এই অভিনেত্রীর।

গত শুক্রবার দেশের ২৪ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘যন্ত্রণা’ সিনেমা। তবে সিনেমা মুক্তির কয়েক দিন আগে থেকে প্রচারণায় সরব সায়মা স্মৃতি।

মুক্তির আগে টেলিভিশন ও পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। ছুটির দিন শুক্রবারে দর্শকের সঙ্গে ছবিটি দেখেছেন সায়মা স্মৃতি।  

গণমাধ্যমে স্মৃতি বলেন, ‘প্রত্যাশা ছিল একরকম। কিন্তু ভাবিনি এত দর্শক হবে।

সিনেমা হলে অনেক দর্শক দেখেছি। মনটা ভরে গেছে। ভাবতেও পারিনি এত দর্শক আমার প্রথম সিনেমায় পাব। ’

সায়মা স্মৃতি বলেন, ‘বিজ্ঞাপনচিত্রে যখন কাজ করি, তখন ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। বিনোদন অঙ্গনে কাজ করার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। শাবনূরের সিনেমা দেখে অনুপ্রেরণা পাই। কয়েক বছর পর চলচ্চিত্রের খারাপ অবস্থা দেখে আবার মন ভেঙে যায়। মনকে অন্যদিকে ফোকাসের চেষ্টা করি। কিন্তু মনের মধ্যে অভিনয়ের বসত ছিল। “পরাণ” ও “হাওয়া” দেখে আবার সাহস পাই। সুযোগ হয় “যন্ত্রণা”য় কাজের। আমি আশাবাদী হয়ে উঠলাম। ’

সায়মা স্মৃতির প্রিয় অভিনেত্রী শাবনূর। তাঁর অভিনীত সবচেয়ে প্রিয় সিনেমা ‘আনন্দ অশ্রু’। এই ছবি যে কতবার দেখেছেন, তার হিসাব নেই বলে জানালেন এই তরুণ নায়িকা।  

স্মৃতি বলেন, ‘বড় পর্দায় এলাম, ফ্লপ মারলাম; তারপর দেখা গেল আর কোনো ডাক পেলাম না। এমনটি আমি চাইনি। তাই সময় নিয়েই সিনেমাকে হ্যাঁ বলেছি। ’

স্মৃতির মতে, ‘আমার এই জীবনে যদি পাঁচটা সিনেমাও করি দর্শক যেন বলেন, মেয়েটি দেখতে সুদর্শনা এবং সব চরিত্রে মানিয়ে নেওয়ার মতো একটা উপাদান আছে। ’ স্বপ্ন দেখেন শাকিব খানের সঙ্গে অভিনয়ের। তিনি বলেন, ‘সবারই চাওয়া থাকে সুপারস্টারের সঙ্গে কাজ করার। আমারও চাওয়া সেই শাকিব ভাইয়ের মতো সুপারস্টারের সঙ্গে কাজ করা। কারণ, সুপারস্টারের সঙ্গে কাজ করতে পারলে বিশাল দর্শকের মধ্যমণি হয়ে থাকা যায়। ’

ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সায়মা স্মৃতি। বিনোদন অঙ্গনে তাঁর যাত্রা শুরু অমিতাভ রেজার বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজের মধ্য দিয়ে। কাজ করেন অনম বিশ্বাসের একটি বিজ্ঞানচিত্রেও। অভিনয়ে অভিষেক হয় ছোট পর্দায় তানিম রহমান পরিচালিত ‘এন্ড্রো’ নামের একটি খণ্ড নাটকে।

পরিবারের কেউ বিনোদন অঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত নন। রক্ষণশীল পরিবারে সায়মা স্মৃতিরা এক ভাই, এক বোন। গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর। নানার বাড়ি চাঁদপুর। বেড়ে ওঠা, শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ঢাকায়।  

news24bd.tv/TR   


 
 

এই রকম আরও টপিক