দক্ষিণ এশিয়া অর্থনৈতিক সম্মেলন এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়

দক্ষিণ এশিয়া অর্থনৈতিক সম্মেলন এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়

নিরঞ্জন রায়

সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ১৪তম দক্ষিণ এশিয়া অর্থনৈতিক সম্মেলন। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান এবং শ্রীলঙ্কা থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, প্রথিতযশা গবেষক এবং অর্থনীতিবিদ এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতির বাস্তবতায় এই আঞ্চলিক সম্মেলনের গুরুত্ব অপরিসীম। সম্মেলনে উপস্থিত সবাই আঞ্চলিক বাণিজ্য প্রত্যাশিত হারে সম্প্রসারিত না হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন এবং এর পেছনের কারণ এবং প্রতিবন্ধকতাগুলো স্পষ্ট করেছেন।

যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে : ১. শুল্ক এবং অশুল্ক বাধা, ২. সীমান্ত বাণিজ্যের অপর্যাপ্ত সুযোগ, ৩. আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, ৪. জটিল ভিসা পদ্ধতি এবং ৫. জনগণের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততার অভাব। এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করে দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য কিছু সুপারিশও করেছেন, যার মধ্যে আছে- ১. কমন ডকুমেন্টেশন, ২. বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ৩. এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ বৃদ্ধি, ৪. বিনিময় হার ও পেমেন্ট পদ্ধতি সহজ করা, ৫. কারেন্সি সোয়াপ, ৬. অধিক পরিমাণে লাইন অব ক্রেডিট, ৭. কাস্টমস এবং ট্যাক্স পলিসির মধ্যে সামঞ্জস্য রক্ষা করা এবং ৮. আঞ্চলিক একক মুদ্রার প্রচলন। অনেকে অবশ্য আঞ্চলিক একক মুদ্রা চালুর ব্যাপারে চ্যালেঞ্জের বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন।

এটি ১৪তম দক্ষিণ এশিয়া অর্থনৈতিক সম্মেলন হলেও আগের সম্মেলনগুলোর তুলনায় এই সম্মেলনের প্রাসঙ্গিকতা বেশ ভিন্ন এবং গুরুত্বও অনেক বেশি।

বিশ্ব এখন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট মোটেই নতুন কিছু নয়। এসব সংকট আগেও ছিল, এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু বর্তমান সংকটের জটিলতা হচ্ছে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট একসঙ্গে দেখা দিয়েছে।

এ রকম জটিল অবস্থা আমরা বিগত তিন দশকে দেখিনি। গত শতাব্দীর শেষের দিকে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছিল ডটকম বাবল বা কম্পিউটার প্রযুক্তি খাতে ধস নামার কারণে। ২০০৮ সালে যে ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছিল তার পেছনে ছিল আমেরিকার সাবপ্রাইম মর্টগেজ কেলেঙ্কারি। ফলে নিকট অতীতের সংকটের তুলনায় এবারের সংকটের জটিলতা এবং তীব্রতা অনেক বেশি। এবারের সংকটের আরও কয়েকটি খারাপ দিক আছে।

প্রথমত, আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়াকে অর্থনৈতিক অস্ত্র দিয়ে মোকাবেলা করতে গিয়ে বিশ্ব অর্থনীতিকে এক জটিল অবস্থার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। দ্বিতীয়ত, অতীতের সব অর্থনৈতিক সংকটে সমগ্র বিশ্ব একই রকম কৌশল ও নীতি প্রয়োগ করে উতরে গেছে, যা বর্তমান সংকটে একেবারেই অনুপস্থিত।

এবারের সংকট মোকাবেলায় সমগ্র বিশ্ব তো এক সুরে কথা বলছেই না, উল্টো একেক দেশ এবং অঞ্চল একেক নীতি ও কৌশল অবলম্বন করে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করছে। ফলে ডি-ডলারাইজেশন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, স্থানীয় মুদ্রায় লেনদেন ও কারেন্সি সোয়াপ শুধু নতুন করে গুরুত্বই পায়নি, সেই সঙ্গে বেশ গ্রহণযোগ্যতাও পেতে শুরু করেছে। আঞ্চলিক বাণিজ্য নতুন করে সামনে এসেছে। লাতিন আমেরিকা, উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আঞ্চলিক বাণিজ্য নতুনভাবে গুরুত্ব পেতে শুরু করেছে। এ রকম একটি প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে যখন দক্ষিণ এশিয়া অর্থনৈতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, তখন তার গুরুত্ব অতীতের যেকোনো সম্মেলন থেকে অনেক বেশি।

সম্মেলনে আলোচকরা উল্লেখ করেছেন যে দক্ষিণ এশিয়ার জনসংখ্যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৫ শতাংশ, অথচ বিশ্ব বাণিজ্যের মাত্র ৮ শতাংশ হয় এই অঞ্চলে। খুবই স্বাভাবিক। আঞ্চলিক বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটাতে না পারলে এই অবস্থার খুব একটা উন্নতি হবে না। উল্লেখ্য, দক্ষিণ এশিয়ার পুরোটাই ইমার্জিং মার্কেট, যেখানে আছে অপার সম্ভাবনা। পশ্চিমা বিশ্বের অনেক গবেষণায় এটা দেখা গেছে যে আগামী কয়েক দশকে ইমার্জিং মার্কেট হবে বিশ্ব অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি। ইমার্জিং মার্কেটে সম্ভাবনা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাত্রা অনেক বেশি হবে। এই মার্কেটে যে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ সুযোগ সৃষ্টি হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এই ইমার্জিং মার্কেটের সুযোগকে শতভাগ কাজে লাগানোর লক্ষ্য নিয়ে এই অঞ্চলের ব্যবসা, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে হবে সম্মিলিতভাবে এবং একে অপরের প্রতি সহযোগিতার মাধ্যমে।
এই সম্মেলনে যেসব সমস্যার কথা বলা হয়েছে এবং যেসব সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়েছে, সেগুলো মোটেও নতুন কিছু নয়। অবশ্য দু-একটি নতুন সুপারিশ যে দক্ষিণ এশিয়া অর্থনৈতিক সম্মেলন এবং প্রাসঙ্গিক বিষয় আসেনি, তেমন নয়। যেমন- কারেন্সি সোয়াপ এবং আঞ্চলিক একক মুদ্রা চালু। কিন্তু বাস্তবতার আলোকে এই সুপারিশের বাস্তবায়ন সম্ভব কি না সেটাই বড় প্রশ্ন। একটি বিষয় এখানে বিবেচনায় নিতে হবে, তা হচ্ছে বিগত এক দশকে বিভিন্ন অঞ্চলে আঞ্চলিক বাণিজ্যের যেভাবে প্রসার ঘটেছে বা আঞ্চলিক বাণিজ্যের যে নতুন কাঠামো ব্যবহৃত হচ্ছে সেটি বিবেচনায় নিয়েই যুগোপযোগী নীতি এবং কৌশল গ্রহণ করতে হবে। সেটি যথাযথভাবে করতে না পারলে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক বাণিজ্য খুব বেশিদূর এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না। সুতরাং আঞ্চলিক বাণিজ্যের সঙ্গে যারা সরাসরি জড়িত বা যারা এ ব্যাপারে নীতি প্রণয়ন করে এবং ভূমিকা রাখে, তাদের এ বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।

সম্মেলনে উপস্থিত সবাই একবাক্যে দক্ষিণ এশিয়ার দেশের মধ্যকার ভিসা পদ্ধতি সহজ করা এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন। অবশ্যই এই অঞ্চলের ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী, ভোক্তা এবং সর্বোপরি সাধারণ মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি আঞ্চলিক বাণিজ্য প্রসারের পূর্বশর্ত। এই শর্ত শুধু ভিসা পদ্ধতিতে সহজ করে নিশ্চিত করা যাবে না। আসলে যে পদ্ধতিকে ভিসা ফ্রি ভ্রমণ বলা হয়ে থাকে, সেটি মূলত ভিসা ফ্রি ভ্রমণ নয়। এখন যে ভিসা ফ্রি ভ্রমণের কথা বলা হয়, সেটি আসলে একটি দেশে ডিজিটাল এন্ট্রি ছাড়া আর কিছুই নয়। কেননা এখন সব দেশেই প্রযুক্তিনির্ভর মেশিন রিডেবল বা ই-পাসপোর্ট চালু হয়েছে। প্রত্যেক দেশের বর্ডারে অবস্থিত ইমিগ্রেশন অফিসে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেশিন রিডেবল বা ই-পাসপোর্ট স্ক্যান করার প্রযুক্তিও স্থাপিত হয়েছে। ফলে প্রত্যেক দেশের বর্ডারে অবস্থিত ইমিগ্রেশন অফিসে স্থাপিত প্রযুক্তিতে মেশিন রিডেবল বা ই-পাসপোর্ট স্ক্যান করার সঙ্গে সঙ্গে ভ্রমণকারীর সব তথ্য ভেরিফাই হয়ে ইলেকট্রনিকভাবে লিপিভুক্ত হয়ে যায়। একই সঙ্গে এন্ট্রি ক্লিয়ারেন্স ইস্যু হয় এবং স্থাপিত স্বয়ংক্রিয় গেটটিও সেই ভ্রমণকারীর জন্য খুলে যায়। অথচ গতানুগতিক ভিসাবিহীন ভ্রমণ বলতে এমন এক ব্যবস্থাকে বোঝায় যেখানে ভ্রমণ করার জন্য কোনো রকম পাসপোর্ট-ভিসার প্রয়োজন হয় না এবং কোনো কিছুর এন্ট্রি করতে হয় না। অনুমোদিত একটি পরিচয়পত্র দেখিয়েই চলে যাওয়া যায়। যেমনটা আছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে। পক্ষান্তরে আমেরিকা-কানাডার মধ্যে যে ভিসা ফ্রি যাতায়াত আছে, তা প্রকৃত অর্থে ভিসা ফ্রি যাতায়াত নয়, বরং মেশিন রিডেবল বা ই-পাসপোর্ট দিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এন্ট্রি করেই যাতায়াত করার একটি ব্যবস্থা। ফলে কে কখন কোথায় যায় তার সব তথ্য সরকারের কাছে থাকে।

দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক অবস্থা যে রকম, তাতে সেখানকার কিছু নাগরিকের জন্য নিজ নিজ দেশের সরকার যাচাই-বাছাই করে ভিসা ইস্যুর এখতিয়ার রাখতেই পারে এবং সেক্ষেত্রে তাদের তথ্য সন্নিবেশিত করে রাখা যেতে পারে। এমনকি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এমন ব্যবস্থা করা সম্ভব যে মানুষ নিজে থেকেই জেনে নিতে পারবে যে তারা মেশিন রিডেবল বা ই-পাসপোর্ট দিয়ে বর্ডারের ইমিগ্রেশন অফিসে স্ক্যান করেই ভ্রমণ করতে পারবে, নাকি আনুষ্ঠানিক ভিসা নিতে হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এর ফলে বেশির ভাগ মানুষের দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভ্রমণের কাজটি সহজ হবে, যা মূলত এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করবে। বর্তমানে ভিসা জটিলতার কারণে সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, অনেকে জরুরি প্রয়োজনেও বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করতে নানা প্রতিবন্ধকতা এবং হয়রানির শিকার হয়, যা আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে প্রধান অন্তরায়।

দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে হলে এলসিবিহীন লেনদেন চালু করতে হবে। সুদূর আমেরিকা-ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অনেক বাণিজ্য এলসি ছাড়াই শুধু ওপেন অ্যাকাউন্ট বা ক্রয় চুক্তির মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে, অথচ প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সেই সুযোগ নেই। এই এলসি ব্যাপকভিত্তিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। যদিও সম্মেলনে উপস্থিত অনেক আলোচক কমন ডকুমেন্টেশনের কথা বলেছেন। সেটি অবশ্য এমনিতেই করতে হবে। কেননা এলসির ডকুমেন্টস শিগগিরই ডিজিটাইজড হয়ে যাবে, তবে এতে আঞ্চলিক বাণিজ্য প্রসারে খুব একটা সুবিধা হবে না। এক্ষেত্রে এলসির বাধা দূর করার কোনো বিকল্প নেই। তবে যেসব ক্ষেত্রে মূল্য পরিশোধের অনিশ্চয়তা থাকবে সেখানে ব্যাংক গ্যারান্টি বা স্ট্যান্ডবাই এলসির মাধ্যমে সেই অনিশ্চয়তা দূর করা যেতে পারে। যেমনটা করেছে লাতিন আমেরিকা এবং ইউরোপের অধিকাংশ দেশ। সম্মেলনে অনেকে আঞ্চলিক একক মুদ্রা চালুর সুপারিশ করেছেন, কিন্তু বাস্তবে এটি সফল হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আপাতত নেই। একমাত্র ইউরো ছাড়া এ রকম আঞ্চলিক একক মুদ্রা বিশ্বের আর কোথাও আছে কি না আমার জানা নেই। সেই ইউরোও কোনো রকমে টিকে আছে। তাই একক মুদ্রা চালুর চিন্তা বাদ দিয়ে কারেন্সি সোয়াপ এবং সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত রাষ্ট্রীয় ঋণ সুবিধার ব্যবস্থা করতে পারলে সেটি একক মুদ্রার চেয়ে অনেক ভালো কাজ করবে।

দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটাতে হলে সরাসরি আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে আমদানিকারকের দেশে রপ্তানিকারক কোম্পানির সহযোগী বা সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে বাণিজ্য পরিচালনা করার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধিত দেশের স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তি হওয়ার বাধ্যবাধকতা রাখা যেতে পারে। এর ফলে একদিকে অনেক শুল্ক এবং অশুল্ক বাধা যেমন দূর হবে, অন্যদিকে তেমনি সাধারণ মানুষের পুঁজি বাজারে বিনিয়োগ সুবিধাও বৃদ্ধি পাবে। বিষয়টি একটু জটিল বিধায় বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন, যার সুযোগ এখানে সীমিত। এ কথা অনস্বীকার্য যে বিশ্বব্যবস্থায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ব্যাপক বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক সুবিধা সৃষ্টি হয়েছে। যদি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো নিজেরা এই অপার সম্ভাবনা ধরতে না পারে, তাহলে দেখা যাবে অন্য দেশ এই সুযোগ তাদের মতো করে লুফে নিয়েছে, অথবা সৃষ্ট সুযোগ অধরাই থেকে গেছে। এ কারণেই আঞ্চলিক সম্মেলনের গুরুত্ব অনেক বেশি এবং এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আঞ্চলিক বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারলে এই অঞ্চলের সব দেশই লাভবান হবে।

লেখক : সার্টিফায়েড অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং স্পেশালিস্ট ও ব্যাংকার, টরন্টো, কানাডা
nironjankumar_roy@yahoo.com