করাচিতে চীনা সাবমেরিন-যুদ্ধজাহাজ

সংগৃহীত ছবি

করাচিতে চীনা সাবমেরিন-যুদ্ধজাহাজ

অনলাইন ডেস্ক

কয়েকটি চীনা যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন এবং রণতরী সহায়ক জাহাজ পাকিস্তানের করাচি বন্দরে নোঙর করেছে। স্যাটেলাইট চিত্রগুলো বিশ্লেষণ করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।  স্মরণকালের সবচেয়ে বড় নৌ মহড়ার অংশ হিসেবে বেইজিং এবং ইসলামাবাদ যৌথভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে।

সী গার্ডিয়ান-৩ নামের এই মহড়া এমন এক সময়ে করা হচ্ছে যখন ভারত মহাসাগরের জলসীমায় সামুদ্রিক উপস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে চাইছে চীন।

এর মধ্যে রয়েছে হর্ন অফ আফ্রিকার জিবুতিতে একটি বিশালাকার ঘাঁটি নির্মাণ এবং আঞ্চলিক কয়েকটি দেশের নৌবাহিনীর কাছে বেশ কয়েকটি আধুনিক প্ল্যাটফর্ম বিক্রি এবং পাকিস্তান নৌবাহিনীর কাছে চারটি টাইপ-০৫৪ এ/পি ফ্রিগেট বিক্রি করা।  

পারমাণবিক অস্ত্র পরিবহনযোগ্য এমন সামরিক ও দ্রুতগতির ডুবোজাহাজের উপস্থিতি ভারত মহাসাগরে একধরনের সঙ্কট তৈরি করেছে। ইতোমধ্যে চীনের এসব সামরিক জলযান প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করতে সেখানে ভারতীয় তৎপরতা নজরে এসেছে। এদিকে, ভারত মহাসাগরে চীনের প্রভাববলয় ঠেকাতে নয়াদিল্লির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র।

  

এর আগে, গত বছর  ২৫ জানুয়ারি, পাকিস্তানের নৌবাহিনীতে প্রথমবারের মতো যুক্ত হয় চীনে তৈরি নতুন যুদ্ধজাহাজ। সোমবার পাকিস্তানের নৌবাহিনীতে যুক্ত হয় পিএনএস টুঘ্রিল নামের এই জাহাজ। এটি পাকিস্তানের নৌবাহিনীতে যুক্ত হতে যাওয়া চারটি ফ্রিগেটের প্রথমটি।

পাকিস্তান নৌবাহিনীর সংবাদ বিবৃতির উল্লেখ করে এতে বলা হয়, সোমবার করাচিতে পাকিস্তান নৌবাহিনীর ডকইয়ার্ডে বহুমাত্রিক কাজে ব্যবহারযোগ্য পিএনএস টুঘ্রিল ফ্রিগেটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। ২০১৮ সালের জুনে এই যুদ্ধজাহাজের চারটি সরবরাহের জন্য চীনের সঙ্গে চুক্তিতে সই করে পাকিস্তান।

২০২০ সালের আগস্টে সাংহাইয়ে এই জাহাজ চালু করা হয়েছিল। আর ২০২১ সালের নভেম্বরে তা পাকিস্তান নৌবাহিনীর কাছে সরবরাহ দেয়া হয়েছে। চায়না স্টেট শিপ বিল্ডিং করপোরেশন এই জাহাজের নির্মাতা। চীন এ যাবত যেসব যুদ্ধজাহাজ রপ্তানি করেছে তার মধ্যে এই ফ্রিগেটটি সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে অত্যাধুনিক সারফেস কমব্যাট ভ্যাসেল। জাহাজটি সরবরাহ করার সময় এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছে নির্মাতারা।

news24bd.tv/AA