আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ২০

সংগৃহীত ছবি

বগুড়ার শেরপুর

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ২০

অনলাইন ডেস্ক

বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলের ডাকা পঞ্চম দফার অবরোধের প্রথম দিনে বগুড়ার শেরপুরে বিএনপি-আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিসহ দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে ঢাকা বগুড়া মহাসড়কের খেরজুরতলা এলাকায় এ সংঘর্ষ ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল ও রাবারবুলেট নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।  

আহতরা হলেন, শেরপুর থানার ওসি বাবু কুমার সাহা, এসআই হাসান, কনস্টেবল মো. শামীম, মো. রেজাউল, মো. আলফাজ, সাংবাদিক এ জেড হিরা ও জাতীয় শ্রমিক লীগ শেরপুর উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাজেদুল ইসলাম, সুঘাট ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সীমাবাড়ি ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, ২নং ওয়ার্ডের সভাপতি কামাল হোসেনসহ ৭জন, বিএনপি-স্বেচ্ছাসেবক দলের আহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে অবরোধ সমর্থনে জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি জি এম সিরাজের নেতৃত্বে একটি মিছিল দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়। মিছিলটি ঢাকা বগুড়া মহাসড়কের হাসপাতাল রোডের মোড়ের সামনে পৌঁছালে একই সময় ওই এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের মিছিল আসে। সমাবেশস্থলের পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় সেখানে প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটে।

পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েকটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে ৫ জন পুলিশ সদস্য, ১ জন সাংবাদিক, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ১০ নেতাকর্মী আহত হন। অপরদিকে আওয়ামী লীগের ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সংঘর্ষের বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু অভিযোগ করে বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করছিলাম। হাসপাতাল রোড এলাকায় এলে আওয়ামী লীগের লোকজন পিছন থেকে এসে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমরা প্রতিহত করার চেষ্টা করতেই পুলিশ টিয়ারশেল ছুড়তে শুরু করে। এতে আমাদের ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

তবে সংঘর্ষের জন্য বিএনপিকেই দায়ী করে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তারিকুল ইসলাম তারেক বলেন, বিএনপি প্রথমে আমাদের দিকে ইটপাটকেল ছুঁড়ে হামলা করে। তারপর আমাদের লোকজন তা প্রতিহত করতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে আমাদের অন্তত ৭ জন আহত হন।  

শেরপুর থানার ওসি বাবু কুমার সাহা বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধলে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আমিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছি। এ ছাড়া আরও ১০ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
news24bd.tv/AA