কুকুরের কামড়েই মিলবে অর্থ!

সংগৃহীত ছবি

কুকুরের কামড়েই মিলবে অর্থ!

অনলাইন ডেস্ক

ভারতের পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্ট কুকুরের কামড়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাৎপর্যপূর্ণ রায় দিল। এই সংক্রান্ত ১৯৩টি পিটিশনের শুনানিতে আদালত জানিয়েছে, পথকুকুরসহ অন্যান্য মালিকানাহীন প্রাণির কামড়ের ঘটনার ক্ষেত্রে প্রাথমিক দায় রাজ্যের ওপরেই বর্তায়।

শুধু তাই নয়, প্রতিটি দাঁতের দাগের জন্য ভুক্তভোগীকে ১০ হাজার রুপি ( বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩ হাজার ৩০০ টাকা) করে দিতে হবে রাজ্যকে।  আর কামড়ে মাংস তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতি শূন্য দশমিক দুই সেন্টিমিটার ক্ষতের জন্য ন্যূনতম ২০ হাজার রুপি করে দেওয়ার কথাও বলেছে আদালত।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত মাসে কুকুরের তাড়া খেয়ে রাস্তায় পড়ে গিয়েছিলেন একটি চা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা ৪৯ বছর বয়সি পরাগ দেশাই। পরে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার পরেই নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে এই ইস্যু।

ভারতের নানা আদালতে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এমন ঘটনায় পদক্ষেপ করার জন্য আদালতে পিটিশন দাখিল করতে শুরু করে।

পাঞ্জাবা ও হরিয়ানা হাইকোর্টে তেমনই ১৯৩টি পিটিশন জমা পড়েছিল। সেই মামলাগুলোর সম্মিলিত শুনানির সময় আদালত জানিয়েছেন, কুকুরের কামড়ের ঘটনার ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দায় রাজ্যেরই। পরে সেই অর্থ সংশ্লিষ্টদের কাছে থেকে আদায় করার অধিকারও থাকবে তাদের। হাইকোর্ট পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং চণ্ডীগড়ের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে একটি কমিটি গঠন করতে বলেছে যা রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো প্রাণীদের দ্বারা সৃষ্ট দুর্ঘটনা বা আক্রমণের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এর মধ্যে রয়েছে গরু, ষাঁড়, বলদ, গাধা, কুকুর, নীলগাই, মহিষ এবং অন্য পোষা ও রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো জীবজন্তু।

এই কমিটি সংশ্লিষ্ট জেলার ডেপুটি কমিশনারের সভাপতিত্বে গঠিত হবে এবং এতে থাকবেন পুলিশ সুপার/ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (ট্রাফিক), সংশ্লিষ্ট এলাকার সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা ট্রান্সপোর্ট অফিসার এবং চিফ মেডিকেল অফিসারের প্রতিনিধি।

২০০১ সাল পর্যন্ত ভারতের রাজ্যগুলোতে পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রয়োজনে রাস্তার হিংস্র কুকুরদের যন্ত্রণাহীনভাবে মেরে ফেলার বিধান ছিল আইনে। কিন্তু ২০০১ সালের প্রাণি জন্ম নিয়ন্ত্রণ (কুকুর) নিয়ম আসে। এই আইনে রাস্তার কুকুর নামে একটি পৃথক বিভাগ তৈরি করা হয় এবং তাতে বলা হয় যে প্রাণি কল্যাণ সংস্থা, ব্যক্তিগত ব্যক্তি এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহায়তায় পথকুকুরদের নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করা এবং টিকা দেওয়া উচিত। কিন্তু পর্যাপ্ত তহবিল এবং জনবলের অভাবে প্রায়শই তা বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে পথকুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

news24bd.tv/AA