বিএসএমএমইউতে বিশ্ব সিওপিডি দিবস পালিত

সংগৃহীত ছবি

বিএসএমএমইউতে বিশ্ব সিওপিডি দিবস পালিত

অনলাইন ডেস্ক

ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) অসংক্রামক রোগ। পৃথিবীব্যাপী মৃত্যুর সকল কারণের মধ্যে এটি তৃতীয়। ভয়ঙ্কর এই রোগ সম্পর্কে অবগত হওয়ার মাধ্যমে এটি প্রতিরোধে সচেষ্ট হতে হবে।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বিশ্ব সিওপিডি দিবস উপলক্ষে রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের আয়োজনে বৈজ্ঞানিক সেমিনারে এসব কথা জানানো হয়।

এর আগে দিবসটি উপলক্ষে জনসচেতনামূলক বিএসএমএমইউতে র্যালির আয়োজন করা হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘ব্রিদিং ইজ লাইফ-অ্যাক্ট আরলিয়ার। ’

বক্তারা বলেন, অসংক্রামক রোগগুলোর মধ্যে সিওপিডি অন্যতম শীর্ষ পর্যায়ের রোগ। পৃথিবীব্যাপী মৃত্যুর সকল কারণের মধ্যে এটি তৃতীয়।

তাই এই ভয়ঙ্কর রোগ সম্পর্কে আমাদের ভালোভাবে জানতে হবে এবং প্রতিরোধে সচেষ্ট হতে হবে।

দিবসটি পালনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বক্তারা বলেন, বিশ্ব সিওপিডি দিবস পালন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। দীর্ঘ সময়ব্যাপী বিভিন্ন বিষাক্ত ও ক্ষতিকারক উপাদান শ্বাসতন্ত্রে প্রবেশ করার ফলে শ্বাসনালী ও ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং আক্রান্ত স্থানে প্রদাহ তৈরি হয়।

সেমিনারে জানানো হয়, আক্রান্ত ফুসফুসের ছোট ছোট বায়ু কুঠুরিগুলো নিষ্ক্রিয়া হয়ে যায় (এমফাইসিমা) অথবা শ্বাসনালীর অংশগুলোর আবরণের ধরণ পরিবর্তীত হয়ে বাড়তি মিউকাস নিঃসরণ করে এবং সিলিয়া বা প্রক্ষেপযুক্ত আবরণীয় সংখ্যা কমে যায় (ব্রংকাইটিস)। ফলে দীর্ঘমেয়াদি কাশি, কফ নিঃসরণ ও শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি সমস্যাগুলো ধীরে ধীরে প্রচ্ছন্ন হয়ে উঠতে থাকে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে সমস্যাগুলো প্রকট আকার ধারণ করে এবং একটা সময় এমন অবস্থায় এসে পৌঁছায় যে তখন রোগী নিজের দৈনন্দিন কাজকর্ম করতেও শ্বাসকষ্টে ভোগেন। একই সাথে দানা বাঁধে সিওপিডিজনিত অন্যান্য জটিলতা যেমন হৃদরোগ, মাংসপেশির দুর্বলতা, ওজন হ্রাস, বিষন্নতা, ফুসফুসের ক্যান্সার ইত্যাদি নানা ধরনের বাড়তি সমস্যা।

সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও এই রোগে ভোগা রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতি বছর এই রোগে বিশ্বে কমপক্ষে ৩০ লাখ মানুষ মারা যায় এবং কমপক্ষে ৩০ কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়। তবে অভ্যন্তরীণ বায়ু দূষণ হ্রাস করা, জৈন জ্বালানির ক্ষতিকর দিক থেকে মানুষকে রক্ষা করা এবং ধূমপানে মানুষকে নিরুৎসাহিত করার মাধ্যমে এই রোগটি সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব।

বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, শ্বাসতন্ত্রের সুস্থতার জন্য মুখে মাস্ক অবশ্যই পরতে হবে। ধূমপান পরিহার ও দুষণমুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার মাধ্যমে সিওপিডি রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। কলকারখানার ধোঁয়াসহ সকল ধরনের ধোঁয়া থেকে দূরে থাকা, তামাক চাষ বন্ধ করা এবং তামাক জাতীয় দ্রব্য বিক্রয় নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে সিওপিডি রোগ অনেকটাই নির্মূল করা সম্ভব। ধূমপানই সিওপিডির প্রধান কারণ। তাই এ বিষয়ে সকলকে সতর্ক করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক