আওয়ামী লীগ নেত্রীর মানহানির মামলায় দলের আরেক নেতার কারাদণ্ড

আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালাম খন্দকার

আওয়ামী লীগ নেত্রীর মানহানির মামলায় দলের আরেক নেতার কারাদণ্ড

মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়াম্যান ও আওয়ামী লীগ নেত্রীকে নিয়ে কুৎসারটনায় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালাম খন্দকারকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) জুডিশিয়াল আদালত-১ এর বিচারক মো. সাদিক আল হাসান এ রায় দেন। দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত সালাম খন্দকার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন। এ রায়ে সন্তুষ্ট মামলার বাদী ওই নেত্রী।

তবে উচ্চ আদালতে আপিলের শর্তে আসামিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়নি বলে জানা যায়।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার খালিয়া রাজারাম ইনস্টিটিউট মাঠে ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট বিকেলে আওয়ামী লীগের এক সভায় উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়াম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক (শাজাহান খানপন্থী কমিটি) ফরিদা হাসান পল্লবীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (বাহাউদ্দিন নাছিন পন্থী কমিটি) আব্দুস সালাম খন্দকার (৪৮)। বক্তব্যে তিনি ওই নেত্রীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন। যা স্থানীয় একটি পত্রিকার অনলাইনে প্রচার করা হয়।

 

পরে ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন ওই নেত্রী। এক বছর পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদারীপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক মো. সাদিক আল হাসান দুই পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে সেই প্রধান আসামি আব্দুস সালাম খন্দকারকে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন।

এ বিষয়ে মামলার বাদী ও রাজৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফরিদা হাসান পল্লবী বলেন, আদালত যে রায় দিয়েছেন, তাতে আমি খুশি। তবে বিচার কার্যকর যেন হয়, তার জন্য আদালতের কাছে নিবেদন। নারীরা রাজনীতি করে তাদের রাজনীতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এসব কূরুচিপূর্ণ ব্যক্তিরা। তাই উপযুক্ত বিচার যেন কার্যকর হয় তার দাবি জানাই।

বাদী পক্ষের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন খান রাসেল বলেন, মামলার সত্যতা থাকায় আদালত প্রধান আসামিকে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন। রায়ে আমরা খুশি। তবে রায় যেন কার্যকর হয়, সেই প্রত্যাশা রাখি।

news24bd.tv/আইএএম