‘আমাকে নিয়েন না ভাই, আমার ছেলে অসুস্থ, মা অসুস্থ’

সংগৃহীত ছবি

পুলিশকে গ্রেপ্তার যুবদল নেতা

‘আমাকে নিয়েন না ভাই, আমার ছেলে অসুস্থ, মা অসুস্থ’

অনলাইন ডেস্ক

‘আমাকে নিয়েন না ভাই। আমার ছেলে অসুস্থ, আমার মা অসুস্থ। আমাকে একটু পোশাক পরার সুযোগ দেন’। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মিফতাহ উদ্দিন শিকদারকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তারের সময় এভাবেই পুলিশকে অনুনয়-বিনয় করেন তিনি।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে গ্রেপ্তারের এ ভিডিও গণমাধ্যমে সরবরাহ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহদাৎ হোসেন বলেন, ‘মানুষতো কত কিছুই বলে। এসব অভিযোগের ভিত্তি নেই। মিফতাহ উদ্দিনকে নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সরবরাহ করা ভিডিওতে দেখা যায়, যুবদল নেতা মিফতাহ উদ্দিনকে খালি গায়ে সাদাপোশাকে পুলিশ তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তখন মিফতাহ উদ্দিন পুলিশকে বলছেন, ‘আমাকে নিয়েন না ভাই। আমার ছেলে অসুস্থ আমার মা অসুস্থ। আমাকে একটু পোশাক পরার সুযোগ দেন’।

মিফতাহর মাসহ পরিবারের স্বজনরা গাড়িটি ঘিরে ধরেন। এসময় মাকে উদ্দেশ করে মিফতাহ উদ্দিন বলেন, ‘মা, তুমি টেনশন করো না। আমি আবার ফিরে আসবো’। এসময় এক পুলিশ সদস্যকে বলতে শোনা যায়, ‘এই চুপ থাক। তোর শরীরে একটু আঘাতও কেউ দেবে না। ’

যুবদল নেতার স্বজনরা জানিয়েছেন, মিফতাহ দীর্ঘদিন ধরে ঘরছাড়া ছিলেন। অসুস্থ মা ও শিশুসন্তানকে দেখতে কিছু সময়ের জন্য বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগেই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এদিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত যশোর জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিএনপির ছয় নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন যশোর সদর উপজেলার আরবপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান, পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন ও ওয়ার্ড যুবদলের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, কেশবপুর উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আলতাফ হোসেন ও কেশবপুর সদর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান।

এছাড়া মনিরামপুরের গোপালপুর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাসান মেম্বারের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভাঙচুর ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
news24bd.tv/AA