কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেছেন, দোহাজারী কক্সবাজার রেললাইনের মাধ্যমে কক্সবাজারবাসীর দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হলো। এর মাধ্যমে কক্সবাজার স্থানীয় সম্পদ লবণ, মৎস্য শিল্প ও সবজি সরবরাহের ট্রান্সপোর্টেশনের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। এর পাশাপাশি পর্যটন শিল্প অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হতে চলেছে। যার ফলে কক্সবাজারে আগামী ডিসেম্বর থেকে ব্যাপক হারে পর্যটক আসা শুরু করবে।
আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, পর্যটকরা যখন রেলপথে আসবে তখন তাদের জন্য ওয়েলকাম ইন সিচুয়েশন তৈরি করতে হবে। সুন্দরভাবে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে হবে। আরেকটা হচ্ছে, ওয়ান স্টপ সার্ভিস ইনফর্মেশন হাব তৈরি করতে হবে। এই বিপুলসংখ্যক পর্যটককে সেবা দেওয়া একটা চ্যালেঞ্জ। কক্সবাজার আসার আগে আরও নয়টি স্টেশন রয়েছে। এসব স্টেশনে আমরা বিভিন্ন ধরনের পর্যটন জাতীয় কিছু গড়ে তুলতে পারি। কেউ যদি চায় যে সে ইসলামাবাদ নামবে তাহলে সেখানে কী আছে তা দেখতে পাবে। সেখানে লবণ শিল্প আছে তাহলে সে সেই শিল্প দেখতে যেতে পারে। কেউ যদি মনে করে চকোরিয়া নামবে তাহলে সেখানে মৎস্য শিল্প ও কুতুবদিয়া ঘুরে আসা সম্ভব। এখন থেকে কক্সবাজার ব্যবসায়ী মহলকে পরিকল্পনার আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, কক্সবাজার রেলস্টেশনটা পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। কক্সবাজারে আটটি উপজেলা রয়েছে। তার এক একটিতে এক এক ধরনের বৈচিত্র্য রয়েছে। এসব ডেস্টিনেশন প্রোফাইলে যথাযথভাবে পরিকল্পিতভাবে করা গেলে আমি মনে করি কক্সবাজার মোট দেশজ উৎপাদনে বড় ভূমিকা রাখবে।
কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির এই নেতা বলেন, বর্তমানে পর্যটকরা শুধু কক্সবাজারের সি বিচ দেখতে আসে না। পর্যটকদের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এ জন্য বিনোদনের জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র বের করতে হবে। এটা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ হতে পারে অথবা প্রাইভেট পার্টনারশিপ হতে পারে। কক্সবাজারে স্থানীয় যে সম্পদ রয়েছে তাকে কাজে লাগিয়ে আমরা নতুন নতুন পর্যটন বিশ্লেষণ ডেভেলপ করতে পারি। পাশাপাশি কক্সবাজারে যে মূল আকর্ষণ মেরিন ড্রাইভ সেখানে সংস্কার কাজগুলো দ্রুত শেষ করতে হবে। বিনোদনের জন্য অ্যামিউজিং পার্ক, সিনেপ্লেক্স করা যেতে পারে। একটা জিনিস আমাদের মনে রাখতে হবে পর্যটককে বিনোদন দিয়ে ধরে রাখতে হবে। পর্যটনশিল্পে নানা সম্ভাবনা রয়েছে কক্সবাজারে। আমাদের এখানে রিভার ট্যুরিজম, কালচারাল ট্যুরিজম, রিলিজিয়াস ট্যুরিজম চালু করা সম্ভব।