সুন্দরবনে রাস পুণ্যস্নানে যেতে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের নিষেধাজ্ঞা

ফাইল ছবি

সুন্দরবনে রাস পুণ্যস্নানে যেতে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের নিষেধাজ্ঞা

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জে বঙ্গোপসাগর পাড়ে দুবলার চরের আলোরকোলে আগামী ২৫ থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহ্যবাহী রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান।

আগামী ২৭ নভেম্বর ভোরে দিনের প্রথম জোয়ারে সমুদ্রের নোনা পানিতে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পুণ্যস্নানের মধ্যদিয়ে শেষ হবে ঐতিহ্যবাহী রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান।

তবে, বিগত ২০০ বছর ধরে সুন্দরবনের আলোরকোলে সব ধর্মবর্ণের মানুষদের মিলনমেলা বা উৎসব এবার হবে না। এবার রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নানে যেতে পারবেন শুধুমাত্র সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।

সাগর পাড়ে রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নানে যাওয়া-আসা নির্বিঘ্ন করতে পাঁচটি নৌরুট নির্ধারণ করা হয়েছে। বাগেরহাটের জেলা প্রশাসন, পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ এবং রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান আয়োজন কমিটির সভায় সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে সুন্দরবন বিভাগ থেকে পাশ-পারমিট নিয়ে পাঁচটি নৌরুট দিয়ে সেখানে যাওয়া যাবে। মোংলার ঢাংমারী-চাঁদপাই স্টেশন ত্রিকোনা আইল্যান্ড হয়ে সুন্দরবনের আলোরকোল, শরণখোলার বগী-বলেশ্বর-সুপতি -কচিখালী- শেলারচর হয়ে আলোরকোল, সাতক্ষীরার বুড়িগোয়ালিনী, কোবাদক-বাটুলানদী-বলনদী-পাটকোষ্টা খাল-হংসরাজ নদী হয়ে আলোরকোল, খুলনার কয়রা-কাশিয়াবাদ-খাসিটানা-বজবজা-আড়ুয়া শিবসা-শিবসা নদী-মরজাত হয়ে আলোরকোল, নলিয়ান-শিবসা-মরজাত নদী হয়ে আলোরকোল যেতে পারবেন সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।

একটি নৌযানে সবোর্চ্চ ৫০জন পূণ্যার্থী যেতে পারবেন।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মোহাম্মদ নূরুল করিম জানান, সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান যেতে পাঁচটি রুট নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। শুধুমাত্র সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান যেতে পারবেন। অতীতের মতো হবে না কোনো উৎসব বা মেলা। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তিনি জানান, রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নানে অংশ নেয়া কেউ হরিণসহ কোনো প্রকার বন্যপ্রাণী শিকার, খাওয়া ও সংরক্ষণ এবং গাছপালা কাটতে পারবেন না। রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নানে আসা-যাওয়াসহ আলোরকোলে অবস্থানকালে পূণ্যার্থীরা সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারবেন না। এজন্য সুন্দরবনের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্টসহ নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে বলে জানান এই বন কর্মকর্তা।

news24bd.tv/FA