কুড়িগ্রামে ইজতেমা বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

কুড়িগ্রামে ইজতেমা বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে কুড়িগ্রাম জেলা তাবলীগী সাথী ও ওলামায়ে কেরামগণ।

কুড়িগ্রামে ইজতেমা বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামে ইজতেমা বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে কুড়িগ্রাম জেলা তাবলিগি সাথী ও ওলামায়ে কেরামগণ। তাদের দাবি, জেলায় জেলায় ইজতেমা আয়োজন না করে শুধু টঙ্গীতে জেলাভিত্তিক ধর্মীয় এ জমায়েতের আয়োজন করা হোক। ইজতেমা বন্ধ না হলে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনেরও ঘোষণা দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে। শুক্রবার সকালে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার মাওলানা ওসমান গণি কাসেমী।

এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন রায়গঞ্জের মুফতী শামসুদ্দিন, নাগেশ্বরীর মাওলানা আমিনুল ইসলাম, চন্ডিপুরের মুফতী আব্দুল হান্নান, সওদাগড় পাড়ার মেছবাহুল উলুম কওমী মাদ্রাসার মাওলানা নুর উদ্দিন কাসেমী, ফাতেমাতুয যাহরা বালিকা মাদ্রাসার মাওলানা ফরিদ উদ্দিন, দাসেরহাট মাদ্রাসার মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, কবিরাজ পাড়া মাদ্রাসার মাওলানা আব্দুর রহিম, যাত্রাপুর কওমী মাদ্রাসার মুফতী জামাল উদ্দীন, কেতার মোড় কওমী মাদ্রাসার মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা রাশেদুল ইসলাম প্রমুখ।
 
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১৫ থেকে ১৭ নভেম্বর কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে তাবলিগের মাওলানা সাদ্ এর অনুসারীগণ তিন দিনব্যাপি ইজতেমার আয়োজন করেছে। এর প্রতিবাদে আজ সংবাদ সম্মেলন করেছেন কুড়িগ্রাম জেলা তাবলীগী সাথী ও ওলামায়ে কেরামগণ।

তাবলিগি সাথী ও ওলামায়ে কেরামগণ সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন ভারতের নিজামুদ্দিন মার্কাসের মুরব্বী মাওলানা সাদ্ একজন স্বঘোষিত আমির এবং ঈমান ও আকিদা ধ্বংসকারী।

তিনি কোরআন ও হাদিসের অপব্যাখ্যা করেন। কাকরাইল মার্কাস মসজিদের শূরাগণ, শীর্ষ স্থানীয় ওলামায়ে কেরামগণসহ ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে মাওলানা সাদ্’কে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমায় না আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়াও জেলায় জেলায় ইজতেমা না করে টঙ্গীতে জেলাভিত্তিক বিশ্ব ইজতেমা সফলভাবে আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। অথচ সাদ্ অনুসারীরা বিশ্ব ইজতেমা বানচাল করতে সিদ্ধান্ত অবমাননা করে জেলায় জেলায় ইজতেমা করার অপচেষ্টা করছে।

সংবাদ সম্মেলনে এই ইজতেমা বন্ধে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। তা না হলে ইজতেমা বন্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১১ নভেম্বর পুরাতন ঈদগাহ মাঠে গণজমায়েত ও বিক্ষোভ, ১৩ নভেম্বর জেলা প্রশাসক অফিসের সামনে ইজতেমা বন্ধ ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান ধর্মঘট। সংবাদ সম্মেলনে কুড়িগ্রাম জেলা মার্কাসকে তাবলিগের সাথী ও ওলামায়ে কেরামগণের নিকট হস্তান্তরেরও দাবি জানানো হয়।
 
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রামে ইজতেমা আয়োজক কমিটির মাঠের জিম্মাদার এরশাদুল আলম চাঁদ, হাজী বাবর উদ্দিন ও আতাউর রহমান জানান, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে ইজতেমা অনুষ্ঠানের বিষয়টি ফয়সালা করা হয়। সে মোতাবেক তিন দিনের ইজতেমার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এবার সাধারণ মুসল্লিগণ শান্তিপূর্ণভাবে ইজতেমায় অংশগ্রহণ করছে।