হরতালের শেষদিনে রাজধানীতে গাড়ির চাপ!

সংগৃহীত ছবি

হরতালের শেষদিনে রাজধানীতে গাড়ির চাপ!

আরেফিন শাকিল 

পাঁচ দফায় অবরোধ পালনের পর রোববার ও সোমবার ৪৮ ঘন্টার হরতাল পালন করছে বিএনপি ও সমমনা দল।  তবে হরতালের সর্মথনে রাজধানীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি। ঝটিকা মিছিল করে দায় সেরেছেন দলটির নেতাকর্মীরা।  

দ্বিতীয় দিনের হরতালের কারওয়ান বাজার ও দয়াগঞ্জে ঝটিকা মিছিল করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

খিলগাঁও রেলগেইট এলাকায় মিছিল করে যুবদলের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন। সংগঠনের আরেকটি অংশ মিছিল করে মতিঝিলে। সায়েদাবাদ, মগবাজার, বিজয়নগরে মিছিল করে ছাত্রদল। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দল মিছিল করেন ধানমন্ডি, যাত্রাবাড়ীসহ কয়েকটি এলাকায়।
এছাড়া ঢাকা মহানগরের উত্তরের কয়েকটি থানার বিভিন্ন গলিতে মিছিল করে।

পুলিশের পাহারায় পল্টন মোড় থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত বরাবরের মতো হরতাল সমর্থনে মিছিল করে এলডিপি, গণ অধিকার পরিষদ, গণতন্ত্র মঞ্চ ও ১২ দলীয় জোটসহ কয়েকটি বাম সংগঠন। ২৮ অক্টোবর থেকে বিএনপি- সমমনাদের ডাকা হরতাল- অবরোধে রাজধানীতে এমন অভিন্ন চিত্রই ছিলো।

তবে একদফার কর্মসূচিতে খুব একটা সাড়া দেয়নি সাধারণ মানুষ। সোমবার রাজধানীর প্রায় সব সড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। শাহবাগে দায়িত্বরত ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিদর্শক আল-আমিন বলেন, আজকে স্বাভাবিক দিনের মতোই দায়িত্ব পালন করছি। যানবাহনের চাপ থাকায় ৩-৫ মিনিটের সিঙনাল দিতে হচ্ছে।

বাসচালক আবদুল মজিদ বলেন, সকাল থেকে গাড়ি চালাচ্ছি, সব স্বাভাবিকই লাগছে, তবে যাত্রী কম।

রাজধানীতে সব চাইতে বেশি যানজট তৈরি হয় গুলিস্তান এলাকায়।  সেখানে দায়িত্বরত একজন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য জানান, সরকারি দলের মনোনয়নপত্র বঙ্গবন্ধু এভিনিউ’র কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বিক্রি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে গাড়ির চাপ বেশি, সেজন্য যানজটও বেশি। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা বহর নিয়ে আসায় প্রায় গাড়ি বন্ধ রাখতে হয়।

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা জোনায়েদ সাকী বলেন, আমাদের কর্মসূচিতে মানুষের সমর্থন আছে। সরকার একতরফা নির্বাচনের স্বপ্ন দেখছে কিন্তু মানুষ তা করতে দেবে না। আমরা জনগণের ওপর ভর করে কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনবো, হরতাল-অবরোধের পাশাপাশি ঘেরাও কর্মসূচি আসবে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমাদের কর্মসূচিতে মানুষের নীরব সমর্থন আছে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার বেআইনিভাবে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে দিচ্ছে না। কিন্তু জনগণ এসব ভয় পায় না। সরকারের সব নীল নকশা জনস্রোতে উড়ে যাবে।

তবে এসব হরতাল অবরোধ কর্মসূচিতে মাঠে দেখা যায়নি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল, জাসাস, কৃষক দল, মহিলা দল ও তাতী দলের নেতাকর্মীদের।

news24bd.tv/AA