মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে ৫ ধাপ উন্নতি বাংলাদেশের

প্রতীকী ছবি

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে ৫ ধাপ উন্নতি বাংলাদেশের

অনলাইন ডেস্ক

অর্থপাচার বা মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থায় বাংলাদেশের পাঁচ ধাপ উন্নতি হয়েছে। বাসেল অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ইনডেক্স-২০২৩ রিপোর্টে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুইজারল্যান্ডভিত্তিক দ্য বাসেল ইনস্টিটিউট অন গভর্ন্যান্স বিশ্বের ১৫২টি দেশের মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন ঝুঁকি নিরূপণ করে গত ১৩ নভেম্বর এই ইনডেক্স প্রকাশ করে।

২০২২ সালের তথ্যের ওপর এটি তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সূচকে উন্নয়নের কারণ হিসেবে আর্থিক খাতের সচ্ছতা বৃদ্ধি এবং মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ কাঠামোর মানোন্নয়নের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারে উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক অঙ্গীকার, আন্ত সংস্থার কাজের সমন্বয়, আর্থিক খাতে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকারের পর্যাপ্ত লোকবল ও অর্থের সংস্থান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধের সূচকে ২০২৩ সালে বাংলাদেশের অবস্থান হলো ৪৬ নম্বরে।

আগের বছর ২০২২ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৪১ নম্বরে। নতুন সূচক মোতাবেক সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের মধ্যে রয়েছে : ১. হাইতি, ২. চাদ, ৩. মিয়ানমার, ৪. কঙ্গো। সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ আইসল্যান্ড ১৫২তম। এই সূচকে বাংলাদেশ ২০২২ সালেও ২০২১ সালের তুলনায় আট ধাপ উন্নতি করেছিল। তালিকায় চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য যথাক্রমে ২৭, ১১৯ ও ১৪০তম অবস্থানে রয়েছে।

এপিজির মিউচুয়াল ইভালুয়েশেন রিপোর্ট মোতাবেক বাংলাদেশ এফএটিএফের ৪০টি সুপারিশের বিপরীতে আটটিতে কমপ্লায়েন্ট, ২৭টিতে লার্জলি কমপ্লায়েন্ট এবং পাঁচটিতে পার্শিয়ালি কমপ্লায়েন্ট রেটিং পেয়েছে। বাংলাদেশ এফএটিএফের ৪০টি সুপারিশের সবই বাস্তবায়ন করেছে।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক দ্য বাসেল ইনস্টিটিউট অন গভার্ন্যান্স ১২ বছর ধরে কোনো একটি দেশের পাঁচটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে সূচক নির্ধারণ করে থাকে। এগুলো হলো : ক. মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থার পরিপালন (৬৫%); খ. ঘুষ ও দুর্নীতি (১০%); গ. আর্থিক স্বচ্ছতা ও মানদণ্ড (১০%); ঘ. স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি (৫%) এবং ঙ. আইনগত ও রাজনৈতিক ঝুঁকি (১০%)।


 

এই রকম আরও টপিক

সম্পর্কিত খবর