মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আইনজীবী মাছুদ আহমেদ তালুকদার বলেছেন, ২৮ ঘটনায় করা মামলায় বিএনপি মহাসচিবকে গ্রেপ্তার করার কোনো কারণ ছিলো না।
বুধবার (২২ নভেম্বর) মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে মহানগর দায়রা জজ আছাদুজ্জামানের আদালত। এরপর সংবাদ মাধ্যমে কথা বলেন তার আইনজীবী মাছুদ তালুকদার।
তিনি বলেন, গত ২০ নভেম্বর মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানির দিন ধার্য ছিলো।
মাছুদ তালুকদার বলেন, তারা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে মামলা করেছে।
এ আইনজীবী বলেন, মির্জা ফখরুলের বয়স এখন ৮১ বছর। কয়েকদিন আগেই তিনি সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরেছেন। একজন অসুস্থ মানুষকে জেলে রাখা হচ্ছে অন্যায়ভাবে। এর উদ্দেশ্য নির্বাচন ও আন্দোলন থেকে বিএনপিকে দূরে রাখা। এটা একটা অন্যায় ও অপকৌশল।
তিনি বলেন, আমার মনে হয়েছে আদালতের ওপর চাপ ছিলো জামিন না দেয়ার জন্য। আদালত যদি তার নিয়মানুয়ায়ী চলতো তাহলে মির্জা ফখরুলের জামিন আটকানো হতো না।
তবে জামিন নামঞ্জুরের বিষয়ে ঢাকা মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু জানান, মামলাটি তদন্তের স্বার্থে এবং গুরুত্ব বিবেচনায় জামিন দেননি আদালত। আদালত যেকোনো ধরনের প্রভাব মুক্ত বলে আইন মেনেই জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছে।
উল্লেখ্য, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলায় করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন নামঞ্জুর করেছে আদালত। বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুর ২টার সময়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আছাদুজ্জামানের আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে।
গত ২০ নভেম্বরই ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদেরের আদালতে বিএনপি মহাসচিবের জামিন শুনানির দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু অসুস্থ থাকায় শুনানি পেছানোর জন্য আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।