শত শত চড়ুইর কলরবে থমকে যেতে হয় পথচারীদের

শত শত চড়ুইর কলরবে থমকে যেতে হয় পথচারীদের

নাটোর প্রতিনিধি

এক সময়ে গ্রাম-বাংলার চির চেনা চড়ুই পাখি এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। আগের মতো বাসা বাড়ির জানালা বা ছাদে এখন আর চড়ুই পাখির কিচিরমিচির শোনা যায় না। তবে এবার দেখা মিললো ঝাঁকে ঝাঁকে চড়ুই পাখির। যেন পাখিদের মিলনমেলা।

দলবেঁধে উড়ে এসে বসে বরই গাছের ডালপালায়। গাছের প্রতিটি শাখা-প্রশাখা ভরে ওঠে চড়ুই পাখিতে। আর তাদের কিচিরমিচির শব্দে মুখর থাকে গোটা এলাকা। প্রতিদিন বিকেল হলেই হাজার হাজার চড়ুই পাখি নাটোর ষ্টেশন বাজারের বিভিন্ন গাছে দলবদ্ধ হয়।

পুরো এলাকায় মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে এরা।

প্রতিদিন সূর্যাস্তের পর থেকে দলবেঁধে ছুটে আসে হাজার হাজার চড়ুই। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত তাদের কিচিরমিচিরে মুখর থাকে নাটোর রেলস্টেশন বাজার এলাকা। ছোট্ট ছোট্ট গাছের পাতার চেয়ে যেন চড়ুই পাখি বেশি। একেকটি ডালে বসে আছে শত শত পাখি। তাদের কিচিরমিচির শব্দ আর লাফালাফিতে বাড়তি আনন্দ উপভোগ করেন হোটেলে যাত্রা বিরতিতে আসা দূর গন্তব্যের যাত্রী ও স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের ভাষ্য, প্রতিবছর আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি চড়ুই পাখি আসে। তবে এসব পাখি কোথা থেকে আসে, তা কেউই জানেন না। প্রতিদিন শেষ বিকেলে পাখিগুলো দল বেঁধে রেলস্টেশনের সামনে প্রায় ২৫ হাত দূরত্বের মধ্যে দশটি গাছের ছোট-বড় ডালে বসে। ভোর থেকেই গাছ থেকে উড়াল দিয়ে পাখিগুলো হারিয়ে যায় দূর আকাশে। আবার শেষ বিকেলে দল বেঁধে ফেরে গাছের ডালে।

নাটোর হোটেলের মালিক আজিজুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর শীতের শুরুতে দোকানের সামনে দু'টি বকুলগাছে কয়েক হাজার চড়ুই পাখি আসে। প্রায় ৩ বছর ধরে এসব পাখি এখানে আসছে। তবে পাখিগুলো কোথা থেকে আসে, তা জানেন না। প্রতিদিন নিয়ম করে সন্ধ্যায় এসে গাছে বসে, আবার খুব ভোরে চলে যায়। হয়তো তারা খাবারের খোঁজে বাইরে যায়। মাঠে আমন ওঠা শেষ হলে পাখিগুলো তাদের নিজের জায়গায় ফিরে যাবে।

প্রতিদিন নাটোরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে পাখি দেখার জন্য বিকেলের পর থেকে ভিড় জমান পাখি প্রেমীরা। মধ্যরাত পর্যন্ত ছবি ও ভিডিও করতে দেখা যায় দর্শনার্থীদের। ছোট্ট একটি গাছে হাজার হাজার পাখি দেখে তারা মুগ্ধ হন। তার দাবি এদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকারিভাবে যেন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

news24bd.tv/FA

এই রকম আরও টপিক