বসুন্ধরায় চতুর্থ অ্যাম্বাসি কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু 

সংগৃহীত ছবি

বসুন্ধরায় চতুর্থ অ্যাম্বাসি কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু 

অনলাইন ডেস্ক

ঢাকার বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ও হাইকমিশনের অংশগ্রহণে শুরু হয়েছে চতুর্থ অ্যাম্বাসি কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। রাশিয়া, আমেরিকাসহ মোট ১৬ টিমের অংশগ্রহণে বসুন্ধরায় নকআউট পদ্ধতিতে এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

আজ শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিকে বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে আয়োজিত 'চতুর্থ অ্যাম্বাসি কাপ ফুটবল' টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, দূতাবাসের কর্মকর্তারা এই খেলার মধ্য দিয়ে একে অপরের কাছাকাছি আসার সুযোগ পায়, এটি সম্পর্ক বৃদ্ধি করে।

জয় পরাজয় না, এখানে অংশগ্রহণটাই বড় কথা।

তিনি আরও বলেন, ডিপ্লোমেটদের মধ্যে বন্ধুসুলভ সম্পর্ক বৃদ্ধি করে। অনেক সময় স্বাভাবিকভাবে অনেক দেশের কূটনৈতিকরা আনুষ্ঠানিকভাবে একসঙ্গে না বসলেও, এই খেলা কাছাকাছি নিয়ে আসে। মাঝে করোনার এক বছর বাদ দিয়ে, টানা চার বছর ধরে অ্যাম্বাসি কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট হয়ে আসছে।

শাহরিয়ার আলম বলেন, ১৬টি দেশের অ্যাম্বাসিকে এক করে ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা এতটা সহজ কাজ না। এই টুর্নামেন্ট শুধুমাত্র একটি খেলা নয়, এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনে কর্মরতরা নিজেদের মধ্যে ভালো ও সুন্দর সময় অতিবাহিত করতে পারবে। এই ফুটবল টুর্নামেন্টে সকলের উপস্থিতে উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, ডিপ্লোমেট এবং ফরেন মিনিস্টারদের সঙ্গে সময় কাটানোর মতো সময় পাওয়া যায় না। তারপরও প্রতিবছর ক্রিকেট ও ফুটবলের মত চতুর্থ অ্যাম্বাসি কাপ টুর্নামেন্টে উপস্থিত হতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। এই খেলায় অংশগ্রহণ করা ১৬টি মিশনের সকল কর্মকর্তাদের আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।  

তিনি বলেন, খেলাধুলা পছন্দ করে এমন একটা দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলা খুব পছন্দ করেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজেও একজন খেলোয়াড় ছিলেন। বঙ্গবন্ধু একটি ম্যাচে দুটি গোল দিয়েছিলেন। এই কথা আমি জাকারিয়া পিন্টুর কাছ থেকে জানতে পেরেছি। জাতির পিতা তখন জাকারিয়া পিন্টুকে বলেছিলেন, তুই খেল। কারণ জাতির পিতা মানুষের ইমোশন বুঝতেন, তিনি মানুষের লক্ষ্য ঠিক করে দিতেন। সেই জাকারিয়া পিন্টু স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক হয়।  

তিনি বলেন, বাংলায় একটা কথা আছে, যেটা অবশ্য অনেকেই ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপের পরে শুনতে পছন্দ করবেন না। যেটা আমাদের বাংলায় বলে, জয় পরাজয় বড় কথা না অংশগ্রহণই হচ্ছে বড় বিষয়।  

এদিকে, এই টুর্নামেন্টের জন্য ভেন্যু ব্যবহার করতে দেওয়ায় বসুন্ধরা গ্রুপকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।