মালদ্বীপ থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ৫৭ শতাংশ

সংগৃহীত ছবি

মালদ্বীপ থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ৫৭ শতাংশ

অনলাইন ডেস্ক

দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপে রয়েছেন প্রায় এক লাখ বাংলাদেশি কর্মী। দেশটিতে গত ৪/৫ বছর জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ থাকলেও রেমিট্যান্স প্রবাহ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি বছর মালদ্বীপ থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে প্রায় ৫৭ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে মালদ্বীপ থেকে পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২২০ লাখ ইউএস ডলার।

আর চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত মালদ্বীপ থেকে প্রায় ৩১০ লাখ ইউএস ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।  

বাংলাদেশ সরকারের ঘোষিত প্রণোদনা এবং মালদ্বীপ সরকারের বাড়তি সতর্কতার ফলে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন দেশটিতে একমাত্র বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান এনবিএল মানি ট্রান্সফার মালদ্বীপ প্রাইভেট লিমিটেডের সিইও মাকসুদুর রহমান।

ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন মালদ্বীপ ব্রাঞ্জের মার্কেটিং ম্যানেজার মো. তানভীর হোসাইন খান বলেন, বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠানো প্রবাসী গ্রাহকদের সুবিধার্থে আমরা সব ডকুমেন্টে রেডি করে দেই। একবার টাকা ছাড়ার পর কোনো ঝামেলা ছাড়াই পরবর্তী সময়ে টাকা ছাড়ার সুবিধা রয়েছে।

 

মানি ট্রান্সফারের আরেকটি প্রতিষ্ঠান ভিলা ট্রাভেল ম্যানেজার সোফান মাহমুদ বলেন, গ্রাহকের সুবিধার্থে আমরা অনলাইনের নতুন সফটওয়্যারের মাধ্যমে বৈধ পথে টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছি।  

এদিকে, বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশি কর্মী মালদ্বীপে অবস্থান করলেও দেশটিতে নেই কোনো বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা। দেশটিতে অবস্থানকারী প্রবাসী বাংলাদেশিরা মনে করেন, মালদ্বীপে একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা স্থাপনের মাধ্যমে যেমন করে প্রবাসীদের সমস্যার সমাধান হবে, তেমনিভাবে অবৈধ হুন্ডির অপতৎপরতা বন্ধ হবে। আর এর মাধ্যমে বাড়বে রেমিট্যান্স প্রবাহ।  

তারা বলছেন, রুপিয়া থেকে ডলারে কনভার্টের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারে দুই থেকে তিন রুপিয়া লোকসান হয়। যার ফলে ডলার কেনার ক্ষেত্রে ঝামেলায় এড়াতে কেউ কেউ অবৈধ হুন্ডির আশ্রয় বেছে নেয়। ফলে দেশ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সে কারণে মালদ্বীপে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা স্থাপনের দাবি জানান তারা।  

news24bd.tv/AA