সিলেটের ১০ নম্বর কূপ: প্রতিদিন মিলবে ১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

সংগৃহীত ছবি

সিলেটের ১০ নম্বর কূপ: প্রতিদিন মিলবে ১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

অনলাইন ডেস্ক

সিলেট গ্যাসক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপে গ্যাস পাওয়া গেছে। এই কূপ থেকে প্রতিদিন ১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। রোববার সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিলেট গ্যাস ক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপে আমরা প্রায় ১৮ এমএমসিএফ গ্যাস অর্থাৎ ১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রতিদিন পেতে যাচ্ছি নতুন করে খনন করার পরে।

খুবই হাইপ্রেশার, প্রায় ৩৪০০ পিএসআই প্রেসার। আশা করছি, এখানকার গ্যাস সিস্টেমে আনতে আগামী ৭ মাস লাগবে, কারণ আমাদের হাইপ্রেসার লাইন বানাতে হবে।  

তিনি বলেন, 'আমাদের যে পরিকল্পনা, সেই অনুযায়ী ২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় ৬০০ এমএমসিএফ গ্যাসের মধ্যে এই কূপটাও ছিল। এই পর্যন্ত গত ৮ মাসে আমরা প্রায় ১০০ এমএমসিএফ গ্যাস নতুনভাবে আনার ব্যবস্থা করছি।

আমরা আশাবাদী আগামী ২০২৪ ও ২০২৫ সালের মধ্যে আরও ৫০০ এমএমসিএফ গ্যাস আমরা সিস্টেমে দিতে পারব। '

'এটা আমাদের জন্য একটা বিরাট সুখবর। বিশেষ করে ভোলা, বিয়ানীবাজার, সিলেট-১০ এর সবই আমাদের আবিষ্কৃত গ্যাস। সব মিলিয়ে প্রায় ৪৬ টি কূপ দু'বছরের মধ্যে খনন করতে যাচ্ছি। এগুলো খনন শেষ হলে আমরা আশাবাদী আমাদের সিস্টেমে প্রায় ৬০০ এমএমসিএফ গ্যাস প্রবেশ করবে। '

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, 'অর্থনৈতিকভাবে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে আগের চেয়ে গ্যাস কিছুটা হ্রাস পাবে। অন্যদিকে নতুন আবিষ্কৃত গ্যাস আবার যোগ হবে। '

কৈলাশটিলা-২ কূপ থেকে প্রতিদিন প্রায় ৭০ এমএমসিএফ গ্যাস পাওয়া যাবে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, 'এখনকার গ্যাস মূল্য যদি ধরি, সেটার মূল্য প্রায় তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আমরা যদি এলএনজির মূল্যের সঙ্গে তুলনা করি, তবে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার গ্যাস। ওখানকার গ্যাসটা আমরা মূলত এ বছরের শেষ নাগাদ, ডিসেম্বর মাসে আমাদের ফিজিবিলিটির রিপোর্ট দিয়ে দিবে কনসালটেন্ট। সেখান থেকে আমরা পাইপ নির্মাণ করে বরিশাল হয়ে খুলনাতে নিয়ে যাব। সেটা করতেও আমাদের প্রায় আড়াই বছর লাগবে।

'ভোলায়ও আমরা আশাবাদী একটা ভালো গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। এটা দ্রুততার সঙ্গে কাজে লাগানোর ব্যবস্থা করব। '

গ্যাসের পর প্রসেস প্ল্যান করতে হবে জানিয়ে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'প্রসেস প্ল্যানের পর আমাদের গ্যাস সার্ভে করতে হবে। পাইপলাইন ও প্রসেস প্ল্যান সমান্তরালে কাজ করলে বছর দুয়েক সময় লাগবে। '

তিনি বলেন, 'আমরা পরিকল্পনা মাফিক এগোচ্ছি। আমরা আশাবাদী আগামী ২০২৪ ও ২০২৫ সালের মধ্যে আমরা প্রায় ৬০০ এমএমসিএফ গ্যাস নতুন করে সংযোজন করতে পারব। '

শেভরন বিবিয়ানাসহ আরও কয়েকটি এলাকায় কাজ করছে। এক্ষেত্রে কোন অগ্রগতি আছে কিনা- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'বিবিয়ানা এক্সটেনশনে আমরা আশাবাদী, ২০২৭ সালের পর থেকে আমাদের একটা ভালো সম্ভাবনা আছে। ইতিমধ্যে আমরা সার্ভের রেজাল্ট দেখেছি, সেখানে শেভরন কাজ করছে। ২০২৭ সালের পর আমরা একটা ভালো অবস্থানে যেতে পারবো। '
news24bd.tv/AA