মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর দেশে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ন্যাশনাল আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম (বিএনইডব্লিউএস) অন নিউ সাইকোঅ্যাকটিভ সাবস্টেন্সেস প্রণয়নের লক্ষ্যে এক কর্মশালার আয়োজন করেছে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুল ওয়াহাব ভূঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আজিজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব (মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অনুবিভাগ) মো. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ অনুবিভাগ), মো. খায়রুল কবীর মেনন, অধ্যাপক ড. মো. শোয়েব, অধ্যাপক ড. মো. আরিফুল ইসলাম।
কর্মশালার প্রধান অতিথি আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী বলেন, আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেমস বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিউ সাইকলঅ্যাকটিভ সাবস্টেন্সেস সম্পর্কে আগাম বার্তা পাওয়া যাবে। দেশের সব সংস্থার ড্রাগ টেস্টিং ল্যাব এবং টক্সিকলজি ল্যাবসমূহের মধ্যে আন্ত:সমন্বয় করে কাজ করলে নতুন নতুন ড্রাগস সনাক্তকরণ এবং এ বিষয়ে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা সৃস্টি করা সহজ হবে। তিনি মাদক নিয়ন্ত্রণের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানসমূহকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউএনওডিসি এর ড্রাগ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন অফিসার ড. টুন নে সো।
আবদুল ওয়াহাব ভূঞা তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম (বিএনইডব্লিউএস) অন নিউ সাইকোঅ্যাকটিভ সাবস্টেন্সেস সম্পর্কে ধারণা প্রদানের জন্য আজকের এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেমস কার্যকর করতে হলে দ্রুত এনপিএস ডিটেকশন করতে হবে এবং দ্রুত শনাক্তের জন্য ল্যাবগুলোকে আধুনিকায়ন এবং পাশাপাশি ল্যাবসমূহের জনবলের দক্ষতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
দিনব্যাপী কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশ ন্যাশনাল আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেমস অন নিউ সাইকোঅ্যাকটিভ সাবস্টেন্সেস বিষয়ে আইন, বিধিবিধান ও জনসচেতনতা নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন।
কর্মশালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ছাড়াও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড, সিআইডি, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, বিসিএসআইআর, বিএসটিআই, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সুরক্ষা সেবা বিভাগের প্রতিনিধি এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট ল্যাব প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
