চোখ ধাঁধানো গোলে বসুন্ধরাকে জেতালেন মিগুয়েল

সংগৃহীত ছবি

চোখ ধাঁধানো গোলে বসুন্ধরাকে জেতালেন মিগুয়েল

অনলাইন ডেস্ক

এএফসি কাপে প্রথম দেখায় মাজিয়ার বিপক্ষে হারের প্রতিশোধ ফিরতি দেখায় তুললো বসুন্ধরা কিংস। আজ সোমবার (২৭ নভেম্বর) ঘরের মাঠ কিংস অ্যারেনায় পিছিয়ে থেকেও মালদ্বীপের ক্লাবটিকে ২-১ গোলে হারিয়েছে কিংস। এ জয়ে এএফসি কাপের পরের রাউন্ডে ওঠার সম্ভাবনা আরও জাগিয়ে তুললো দেশসেরা ক্লাবটি।

কিংস অ্যারেনায় ওবেং রেগানের গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করা মাজিয়া, দ্বিতীয়ার্ধে একাধিকবার হতাশ করে কিংসের আক্রমণভাগকে।

গোলের জন্য মাথা কুটে মরছিলেন সোহেল-রাকিবরা। কিংস ম্যাচে ফেরে ৮০ মিনিটে। বদলি হয়ে নামা শেখ মোরছালিনের দুর্দান্ত এক কর্নার থেকে হেডে স্বাগতিকদের ম্যাচে ফেরান আসরর গফুরভ। ৮ মিনিট পর চোখ ধাঁধানো এক গোল করে বসেন মিগুয়েল ফিগুয়েরা।
তার ওই গোলেই জয় নিশ্চিত হয় কিংসের।

পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করা কিংস প্রথম ৬ মিনিটেই একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করে। তবে কখনও মাজিয়ার রক্ষণ, কখনও বা দলটির গোলরক্ষক হতাশ করেন স্বাগতিক ফুটবলারদের। এভাবে ম্যাচ এগিয়ে চলছিল শেষের পথে।  

তবে বদলি হয়ে শেখ মোরছালিন আর রফিকুল ইসলাম নামতেই পাল্টে যায় ম্যাচের চেহারা। ৮০তম মিনিটে মোরছালিনের ডান পায়ে নেওয়া কর্নার হেডে জালে পাঠান গফুরভ। ম্যাচে ফেরে কিংস। ওই গোলের পর যেন গোলের নেশা পেয়ে বসে স্বাগতিকদের। তারই ফলশ্রুতিতে আসে মিগুয়েলের গোল। ডরিয়েলটনের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ায় ২৫ গজ দূর থেকে তার নেওয়া শট বাতাসে বাঁক খেয়ে ঢুকে যায় জালে। তার চোখ ধাঁধানো গোলের পর কিংসে উল্লাসে ফেটে পড়েন স্বাগতিক দর্শকেরা। ফুটবলার-কোচিং স্টাফরাও মাতেন আনন্দে।

এর আগে, প্রথমার্ধে নিজেদের ভুলে গোল হজম করে বসুন্ধরা কিংস।  শুরুতে দারুণ দুইটি আক্রমণে যায় স্বাগতিকরা। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেনি উদো ও দরিয়েলতন। প্রথম সুযোগ নষ্ট করেন উদো। দ্বিতীয় মিনিটেই এই নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড বাম প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে গিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন কিন্তু তার শট রুখে দেয় মাজিয়ার এক ডিফেন্ডার। সপ্তম মিনিটে সেরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি দরিয়েলতন গোমেজ। মাজিয়ার অর্ধে এক ডিফেন্ডারের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন দরিয়েলতন, বক্সে মাজিয়ার দুই ডিফেন্ডার থাকায় শট নেঈয়ার জায়গা পাচ্ছিলেন না। যতক্ষণ শট নিলেন ততক্ষণে মাজিয়ার এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে তা নষ্ট হয়।

দশম মিনিট নিজেদের ভুলে আচমকা গোল খেয়ে বসে কিংস। তারিক কাজীর ব্যাক পাস শ্রাবণ নিজেদের খেলোয়াডের দিকে বাড়ালেও তা দৌড়ে এসে পেয়ে যান ভোজিস্লাভ বালাবানোভিচ। তার শট চজয় গজ বক্সের ভেতরে বাবুরবেকের পায়ে লেগে চলে যায় বক্সের অন্য দিকে। দৌড়ে এসে ফাকা পোস্টে বল জালে পাঠান রিগান ওবেং।

পিছিয়ে পড়া কিংস ম্যাচে ফিরতে চেষ্টা চালায়। কিন্তু রোবিনহো অভাব বার বার ফুটে উঠেছে। মধ্যমাঠ থেকে সেভাবে গোছাল আক্রমণে যেতে পারেনি স্বাগতিকরা। দুই একবার গেলেও সেটা কাজে লাগাতে পারেনি দরিয়েলতন-রাকিবরা। প্রথমার্ধের শেষ বাশির আগে টানা দুইটি আক্রমণে যায় কিংস। বিশ্বনাথের ক্রস সাদের হেড মাজিয়া গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলে এমফন উদো শট নিলে তা চলে যায় বাইরে।