ক্ষমতাসীনরা শরীক দল আর নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য দরকষাকষির সময় রাখল ১৭ই ডিসেম্বর পর্যন্ত। আগ্রহীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এবং দলীয় মনোনয়ন পুনর্বিবেচনায় দলটি প্রস্তুত আছে বলেও জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
কাদের জানান, ১৪ দলের সাথে তাদের জোট আছে। তবে জোটের বিজয়ে যোগ্য প্রার্থীদের বিষয়ে তারা ছাড় দিতেও প্রস্তুত আছে।
এদিকে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত কোনো জনপ্রিয় প্রার্থী থাকলে তার বিষয়েও আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোন আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বা ডামি প্রার্থী রাখার প্রয়োজন হলেও সেই সিদ্ধান্ত নেবে দল। আগে বুঝতে হবে ১৪ দলীয় জোটে কারা মনোনয়ন চায়।
১৭ই ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় আছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, যত কিছুই বলা হোক। এর মধ্যে অবজারভ করা হবে, মনিটর করা হবে, অ্যাডজাস্টমেন্ট করা হবে এবং অ্যাকোমেডেট করা হবে। যেখানে যেটা প্রয়োজন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ডামি প্রার্থীর বিষয়েও একই নীতিতে আছে আওয়ামী লীগ। তবে যে যার মতো করে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ থাকবে না বলেও জানান তিনি।
কাদের বলেন, ১৭ই ডিসেম্বরে মধ্যেই এসব বিষয়ে দল সব সিদ্ধান্ত নেবে। তবে সব ক্ষেত্রেই আওয়ামী লীগ কিছু রাজনৈতিক ও নির্বাচনী কৌশল অবলম্বন করবে।
কৌশলগত সিদ্ধান্ত প্রয়োগে সরকারি দেলের ১৭ই ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় নেবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আনার কোনো কৌশল তাদের নেই। তবে তারা নির্বাচনে আসলে আওয়ামী লীগের আপত্তি নেই।
বিএনপির কেউ কেউ নির্বাচনে আসার প্রস্ততি নিচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কাল পরশু (২৯ ও ৩০ নভেম্বর) সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। নির্বাচনে কারা আসবে তাদের দেখে আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী কৌশল ঠিক করবে বলেও জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অনেকে অনেক মন্তব্য করছে জানিয়ে কাদের বলেন, ১০০ বিদেশি বন্ধু পর্যবেক্ষক আসবে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে সরকারি দলের লক্ষ্য একটি অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা। অনেকে অনেক কথা বললেও সরকার একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করে সমালোচকদের সমালোচনার জবাব দিতে চায়।
নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হলে অনেকের সমালোচনা বন্ধ হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন কাদের। তিনি বলেন, সব জল্পনা কল্পনা অবসান হবে সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে।
৩০০ আসনে নৌকা দেয়া হলেও সমন্বয় হলে ছাড় দেয়া হবে বলেও স্পষ্ট জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, শুরুতে নেতিবাচক হিসেবে না দেখে অপেক্ষা করতে হবে শেষ সময় পর্যন্ত।