নোয়াখালীতে ডেকে নিয়ে শিশু হত্যা, বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার

নোয়াখালীতে ডেকে নিয়ে শিশু হত্যা, বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীর চাটখিলে আলোচিত শিশু ফেহা আক্তার হত্যার রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত বাবা-ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  

নিহত ফেহা আক্তার (৭) উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের জষড়া গ্রামের সালামত পাটোয়ারী বাড়ির ফারুক হোসেনের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ছাত্রী ছিল।

আজ মঙ্গলবার গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের নোয়াখালী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।  

এর আগে, গত রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের জষড়া গ্রামের মোল্লা বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে একইদিন রাত ১১টার দিকে পুলিশ জষড়া গ্রামের মোল্লা বাড়ি সংলগ্ন এলাকার একটি পুকুর পাড় থেকে নিহত ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার কড়ে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের জষড়া গ্রামের মোল্লা বাড়ির মিজানুর রহমান সেন্টু (৩০) ও তার পিতা আব্দুস সাত্তার (৭০)।

 

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, গত ১৫ দিন আগে গ্রেপ্তারকৃত সেন্টুর মেয়ে তানহার (৭) সাথে খেলাধুলা করার সময় মারামারি হয় নিহত ফেহার।  

এ ঝগড়ার জের ধরে সেন্টু ফেহাকে তার বাড়িতে মারতে যায়। তখন ফেহার মা মেয়েকে শাসন করার কথা বলে সেন্টুকে নিবৃত করে। এরপর গত রবিবার বিকেলের দিকে বাড়ির পাশে খেতে বাবাকে খোঁজ করতে যায় ফেহা। ওই সময় খেতের পাশে বসা ছিল ঘাতক সেন্টু। পরবর্তীতে তার বাবাকে দেখিয়ে দেওয়ার কথা বলে ফেহাকে ডেকে নেয় সেন্টু।  

একপর্যায়ে সে ফেহাকে নির্মম ভাবে হত্যা করে মরদেহ তার বাড়ি থেকে দূরে ফেলে দিয়ে আসে। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন জষড়া গ্রামের মোল্লা বাড়ি সংলগ্ন পুকুর পাড়ে ফেহার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।   

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ফেহার বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামিকে বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হয়।  

news24bd.tv/কেআই