ড. ইউনূসের মামলায় স্থিতাবস্থা দিয়েছে চেম্বার জজ আদালত

ড. ইউনূসের মামলায় স্থিতাবস্থা দিয়েছে চেম্বার জজ আদালত

অনলাইন ডেস্ক

১০৬ শ্রমিকের বিরুদ্ধে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাইকোর্টে পাওয়া রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন চেম্বার আদালত। এ নিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হবে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার জজ আদালত এই আদেশ দেন। জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন অব্যাহত রয়েছে। আগামী ৬ ডিসেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।

রায়ে আদালত বলেছেন, গ্রামীণ কল্যাণের শ্রমিকরা মুনাফার অংশ পাবে কি না, শ্রম আইন অনুসারে সে সিদ্ধান্ত দেওয়ার এখতিয়ার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের নেই।

গ্রামীণ কল্যাণ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ কোম্পানীভুক্ত একটি অলাভজনক সামাজিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

১০৬ জন শ্রমিক ২০০৬ সাল থেকে ২০১৩ পর্যন্ত বিভিন্ন পদে এই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। তাদের মধ্যে কেউ অবসরে গেছেন।

আবার কাউকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। কিন্তু চাকরির পর প্রতিষ্ঠানটির মুনাফার কোনো অংশ তাদের দেওয়া হয়নি। অথচ ২০২১ সাল থেকে গ্রামীণ কল্যাণের মুনাফার অংশ শ্রমিকদের দেওয়া হচ্ছে। যে কারণে এই শ্রমিকরা ভূতাপেক্ষভাবে মুনাফার অংশ দাবি করেন।

এর জন্য প্রথমে তারা গ্রামীণ কল্যাণ কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিশ দেন। নোটিশে সাড়া না পেয়ে পরে তারা শ্রম আইনের ২৩১ ধারায় মামলা করেন। গত ৩ এপ্রিল এ মামলার রায় দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। রায়ে ট্রাইব্যুনাল শ্রম আইন অনুসারে ২০০৬ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত সময়ের মুনাফার অংশ শ্রমিকদের দিতে গ্রামীণ কল্যাণকে নির্দেশ দেন।

এ রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে গ্রামীণ কল্যাণ কর্তৃপক্ষ।

গত বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ড. ইউনূসের গ্রামীণ কল্যাণের শ্রমিকদের ১০৩ কোটি টাকা দিতে লেবার অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিল করেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে নিম্ন লেবার আ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের রায়ও অবৈধ ঘোষণা করা হয়।

বিচারপতি জাফর আহমেদের নেতৃত্বে দ্বৈত বেঞ্চ রুল খারিজ করে করে ওই আদেশ দেন। ১০৬ শ্রমিক চাইলে শ্রম আদালতে গিয়ে মামলা করতে পারবেন বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠান ‘গ্রামীণ কল্যাণ’ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী লভ্যাংশ দিতে ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে হাইকোর্টের রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

news24bd.tv/ডিডি