দেশের আরও ৫০ থেকে ৬০টি গ্যাস কূপ খননের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা মেটাতে ২০২৫ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে স্থলভাগে এসব কূপ খনন করা হবে। বিভিন্ন সিসমিক সার্ভের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ১১৬টি লিডের (কূপ খননের জায়গা) তালিকা এর মধ্যে পেট্রোবাংলার কাছে পাঠিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রডাকশন কম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)।
এ ব্যাপারে বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শোয়েব গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা পেট্রোবাংলার কাছে ১১৬টি সিসমিক লিডের তালিকা দিয়েছি।
রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা সম্ভাবনাময় ১০০টি লিড চিহ্নিত করেছি।
শনাক্ত হওয়া লিড থেকে কী পরিমাণ গ্যাস পাওয়া যেতে পারে, এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘গ্যাসের পরিমাণ এখনই বলা যাচ্ছে না। কারণ যতক্ষণ পর্যন্ত কূপগুলো চূড়ান্ত করা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত গ্যাসের উৎপাদন ও মজুদের বিষয়ে কিছুই বলা যাবে না। আশা করছি, এগুলোতেও ভালো গ্যাসের সন্ধান আমরা পাব। ’
গত বছরের শুরুতে স্থলভাগে গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি কূপ খননের পরিকল্পনা নিয়েছিল পেট্রোবাংলা। এসব কূপ থেকে ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এরই মধ্যে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস গ্রিডে সরবরাহের ব্যবস্থা হয়েছে বলেও জানান পেট্রোবাংলার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
news24bd.tv/আইএএম