সাতদিন মাটির নিচে ছিলেন ইউটিউবার মিস্টার বিস্ট

ভাইরালের নেশা 

সাতদিন মাটির নিচে ছিলেন ইউটিউবার মিস্টার বিস্ট

অনলাইন ডেস্ক

মিস্টার বিস্ট সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন পত্রিকার শিরোনাম হয়েছেন। তার আসল নাম জিমি ডোনাল্ডসন। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি মিস্টার বিস্ট নামেই পরিচিত। তাঁর ২৭ কোটি  ফলোয়ার।

ফোর্বস পত্রিকা অনুযায়ী, জিমি এই মুহূর্তে ইউটিউবারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকা রোজগার করেন। প্রতি মাসে সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট থেকে তাঁর আয় ১ কোটি ডলারের ওপরে।

ইউটিউবে বিচিত্র বিষয় নিয়ে কন্টেন্ট বানিয়ে আজ তিনি জনপ্রিয়। এটিই তাঁর পেশা।

তার কন্টেন্ট মানেই বিভিন্ন দুঃসাহসিক স্টান্ট। এমন সব কাজ করেন তিনি, যা আপলোড করা মাত্রই কোটি কোটি ভিউ হয়ে যায়। সেই ভিউয়ের জন্য নিজেকে বিপদে ফেলতেও দ্বিধাবোধ করেন না জিমি। সম্প্রতি তাঁর তেমনই একটি স্টান্টের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে মাটির তলায় কফিনবন্দি হয়ে টানা ৭ দিন কাটিয়েছেন মিস্টার বিস্ট।

ইউটিউবের একটি কন্টেন্ট বানানোর জন্য মিস্টার বিস্ট অত্যাধুনিক একটি কফিনে বন্দি হয়ে মাটির তলায় চলে যান জিমি। সেই কফিনে বালিশ-বিছানা ছিল, যথেষ্ট পরিমাণ পানীয় জল এবং খাবারও ছিল। এছাড়া সেটির ভিতর সেট করা ছিল একধিক ক্যামেরা। সেই ক্যামেরাতেই ভূগর্ভে জিমির এক সপ্তাহের যাবতীয় কার্যকলাপ ধরা পড়েছে।

জিমির বন্ধুরা প্রথমে একটি যন্ত্রের সাহায্যে মাটি খুঁড়ে ভূগর্ভে রেখে দেন কফিনবন্দি জিমিকে। তারপর ওই যন্ত্রের সাহায্যেই ২০ হাজার পাউন্ড কাদা-মাটি চাপা দেওয়া হয় কফিনের উপর। মাটির তলা থেকে একটি ওয়াকি টকির সাহায্যে বহির্জগতের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন মিস্টার বিস্ট।  

তিনি ফোর্বস পত্রিকাকে জানান,  নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্ত পদক্ষেপ সত্ত্বেও এই এক সপ্তাহ শান্তিতে ঘুমোতে পারেননি তিনি। একাধিকবার কেঁদে ফেলেছেন । এমনকী, যখন কফিনটি মাটির তলা থেকে ৭ দিন পর বের করে আনা হয়, তখনও কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় খ্যাতনামা এই ইউটিউবারকে।

এই প্রথমবার নয়, এর আগে ২০২১ সালে ৫০ ঘণ্টার জন্য মাটির তলায় বন্দি থাকার স্টান্ট করেছিলেন তিনি। তবে এবারে নিজের রেকর্ড তিনি নিজেই ভেঙেছেন। সেই সঙ্গে একথাও জানিয়েছেন, তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। অনুরাগীদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন, তাঁরা যেন কেউ বাড়িতে এমন স্টান্ট না করেন।

ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে

news24bd.tv/ডিডি