গাজায় ‘কৌশলগত পরাজয়’ ঘটতে পারে ইসরায়েলের : যুক্তরাষ্ট্র

সংগৃহীত ছবি

গাজায় ‘কৌশলগত পরাজয়’ ঘটতে পারে ইসরায়েলের : যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান অভিযানে যদি শিশু-নারী ও বেসামরিক লোকজনের হতাহত হওয়া নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, সেক্ষেত্রে এই যুদ্ধে হামাসের বিরুদ্ধে জয় পেলেও কৌশলগতভাবে ইসরায়েল পরাজিত হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন। রোববার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ক্যালিফোর্নিয়ার সিমি ভ্যালি শহরে মার্কিন সামরিক বাহিনীর এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন অস্টিন। সেখানে তিনি বলেন, ‘গাজা উপত্যকায় বর্তমানে যে যুদ্ধ চলছে...তাতে বর্তমানে সেখানে গুরুত্বের একদম কেন্দ্রে অবস্থান করছে উপত্যকার সাধারণ বেসামরিক লোকজন।

ইসরায়েলের অভিযানের কারণে হামাসের ওপর যদি তাদের নতুন করে আস্থা বাড়তে শুরু করে— সেক্ষেত্রে হামাসের বিরুদ্ধে জয়ী হলেও কৌশলগতভাবে পরাজিত হবে ইসরায়েলি বাহিনী। ’

‘ইসরায়েলে ক্ষমতাসীন নেতাদের আমি আগেও বলেছি, আবারও পরিষ্কারভাবে বলছি— গাজার বেসামরিক লোকজনকে রক্ষায় অবশ্যই সর্বোচ্চ যত্নবান হতে হবে এবং উপত্যকায় ত্রাণবাহী ট্রাকের প্রবেশে কোনো বাধা দেওয়া যাবে না। ’

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ১৬ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনী।

ইসরায়েলি বাহিনীর টানা দেড় মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ১৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহত এই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় ৪০ হাজার মানুষ।

অন্যদিকে, হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক।

নিজ বক্তব্যে আল আকসা অঞ্চলে দ্বিরাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নের পক্ষে জোর দেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে এই সমাধানই মধ্যপ্রাচ্যের আল-আকসা অঞ্চলে গত দশকের পর দশক ধরে চলা সংঘাত-সহিংসতার অবসান ঘটাতে পারে।

‘দ্বিরাষ্ট্র সমাধান কেবল ভৌগলিক ও রাজনৈতিক কোনো সমাধান প্রস্তাব নয়, বর‌ং ওই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি কায়েমের একমাত্র পথও এটি। ’

‘বর্তমানে যে ভয়াবহ যুদ্ধ সেখানে চলছে, একদিন তা শেষ হবে; কিন্তু যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের লোকজন মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা, ক্ষোভ, হতাশা আরও বৃদ্ধি পাক— আমরা কেউই তা চাই না। ’

রয়টার্স, আরটি নিউজ।

news24bd.tv/aa