মনোনয়ন বাতিল শুনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সেই চৌকিদার

সংগৃহীত ছবি

মনোনয়ন বাতিল শুনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সেই চৌকিদার

অনলাইন ডেস্ক

নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে সংসদ নির্বাচন করতে চেয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী এসকেন আলী চৌকিদার। তবে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে শুনে আজ কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

আজ সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা এসকেন আলীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন।  

এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু নাছের ভূঁঞা বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী এসকেন আলী তার নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটারের ১ শতাংশ সমর্থিত ভোটারের নাম ও স্বাক্ষরের তালিকা দিতে পারেননি।

মোট ভোটার অনুপাতে তাকে ৩ হাজার ৪৯৪ জন সমর্থক ভোটারের তালিকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি সেখানে মাত্র ৯৮০ জনের তালিকা দিয়েছেন। এ কারণে তার প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করা হয়।

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন এসকেন আলী।

বাতিল ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে তিনি সম্মেলনকক্ষের বাইরে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

কেন ১ শতাংশ ভোটারের তালিকা যুক্ত করেননি, এসময় সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে এসকেন বলেন, ‘আমি নির্বাচনের নিয়মকানুন কম বুঝি। মনোনয়নপত্র তোলার সময় সমর্থক ভোটারের সংখ্যা ভুল শুনেছিলাম। কেউ আমাকে ভুল ধরায়ে দেয়নি। আমার কপালডায় খারাপ। ’

৪৪ বছর বয়সী এসকেন আলী লালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার হিসেবে কর্মরত। এর আগে লালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য পদে দুবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন এসকেন আলী। একবার তৃতীয় হয়েছিলেন। এছাড়া একবার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য পোস্টার ছাপিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করতে পারেননি।

সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র কেনার সময় নির্বাচনে খরচের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এসকেন আলী বলেছিলেন, ‘আমার অল্প কিছু জমি রয়েছে। সেখান থেকে এক কাঠা জমি আড়াই লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। মনোনয়নপত্র কেনাসহ এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে, যা অবশিষ্ট আছে, তা দিয়ে পোস্টার ছাপাব ও মাইকিং করব। ’

নাটোরের চারটি সংসদীয় আসনে মোট ৪৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাইবাছাইয়ে ১২টি মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে লালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার এসকেন আলী একজন।

news24bd.tv/SHS

এই রকম আরও টপিক