যশোরে স্বপন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

সংগৃহীত ছবি

যশোরে স্বপন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

যশোর প্রতিনিধি

আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনী প্রচারণ-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী এবং যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনের নৌকার প্রার্থী স্বপন ভট্টাচার্য্য। নির্বাচন উপলক্ষে ইউনিয়নে ইউনিয়নে বিশেষ বর্ধিত সভার মাধ্যমে তিনি নির্বাচনী প্রচারণ-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিটি সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন।

উপজেলার পৌরসভা ও ইউনিয়নগুলোতে নৌকা মার্কার নির্বাচনী বিশেষ বর্ধিত সভার স্থান ও সময় উল্লেখ করে একটি সূচি তৈরি করা হয়েছে।

বিশেষ বর্ধিত সভার মাধ্যমে প্রতিমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তিনি মাইক্রোফোন হাতে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার স্বপন ভট্টাচার্য্য ভোজগাতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। সভার ব্যানারে লেখা ছিল ‘আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে বিশেষ সভা’।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান।

একই দিন তিনি কাশিমনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশেষ বর্ধিত সভায়ও প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। সেখানে কাজী মাহমুদুল হাসান বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। এদিকে সর্বশেষ গতকাল সোমবার রাতে খেদাপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত ইউনিয়নের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিনি বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।  

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান স্বাক্ষরিত নৌকা মার্কার নির্বাচনী ইউনিয়ন সমন্বয়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। আবার তিন সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচনী অফিসিয়াল ব্যবস্থাপনা ও অর্থ সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। উত্তম মিত্রকে আহ্বায়ক, অ্যাড. বশির আহমেদ খানকে যুগ্ম-আহ্বায়ক এবং প্রভাষক মামুনুর রশিদকে সদস্য করে এই তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।  

এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রচার-প্রচারণার কোনো সুযোগ নেই। এটা আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং বিষয়টি মোটেও আইনসিদ্ধ নয়।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার বলেন, নির্বাচনী আচরণ বিধিতে স্পষ্ট বলা আছে প্রতীক বরাদ্দের আগে কোন প্রকার প্রচার-প্রচারণা চালানো যাবে না। কোন বিয়ষটি আমি এখনি খোঁজ-খবর নিচ্ছি।

স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, আমি এলাকার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করতে গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য কথাবার্তা বলছি। আমি এই মুহূর্তে হরিহরনগর ইউনিয়নে কাজ পরিদর্শন করতে এসে কর্মীরা চা পান খাওয়াচ্ছে তাই খাচ্ছি। এটা আমি সব সময় করে থাকি। আমি কোনো বিশেষ বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখিনি। এই মুহূর্তে রাখতে পারবো না। আমার কাছে নির্বাচনী নীতিমালা আছে আমি সেটি মেনেই চলছি।

news24bd.tv/SHS