'ক্ষমতার জোরে' অন্যের কৃষি জমি থেকে বালু উত্তোলনের অভিযোগ

কৃষি জমি থেকে বালু উত্তোলন চলছে

'ক্ষমতার জোরে' অন্যের কৃষি জমি থেকে বালু উত্তোলনের অভিযোগ

আকবর হোসেন সোহাগ, নোয়াখালী

নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরবাটা ইউনিয়নের খাসের হাট রাস্তার মাথার দক্ষিণ পূর্ব পার্শ্বের ১৭ একর কৃষি জমি নষ্ট করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি ঝুঁকিতে পড়েছে পার্শ্ববর্তী বাড়িঘরগুলো। সরেজমিন পরিদর্শনে ঘটনার সত্যতা মিলেছে।

এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিলেও প্রশাসনের ভূমিকা রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।

 

এদিকে জমির মালিক কামাল উদ্দিন চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা মৌজায় খরিদ সূত্রে ১৭ একর সম্পত্তির মালিক ও দখলে থেকে দীর্ঘদিন ভোগ দখল করে আসছি। সম্প্রতি স্থানীয় প্রভাবশালীরা আমার কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। তা না দেওয়ায় আমার জমিতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবাধে মাটি কেটে ও বালি উত্তোলন করে বিক্রি করছে। এ ঘটনায় মহামান্য উচ্চ আদালতে রিট দাখিল করলে বিজ্ঞ আদালত ৬ মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

কিন্তু আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে লোকজন নিয়ে স্থানীয় আব্দুল্লাহ আল মামুন, ফখরুল ইসলাম ও কেফায়েত উল্যাহ আমার জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি ও অবাধে বালু উত্তোলন করে জমিনকে বড় দিঘিতে পরিণত করছে। এতে আমার ফসলি জমিসহ পার্শ্ববর্তী বাড়িঘর বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে রয়েছে।  

সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু ওয়াদুদ বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কেউ আমাকে বিষয়টি ভালভাবে জানায়নি, কৃষি জমি নষ্ট করে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলন করা সম্পুর্ণ বেআইনি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানাকে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছি। তবুও আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি।  

চর জব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজাম উদ্দন জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমাদের সহযোগিতা চাইলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।  

তবে তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে বক্তব্য দিতে অনীহা প্রকাশ করেন।  

পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ বলেন, এটা পুলিশের কাজ নয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাজ, তিনি চাইলে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করবো।  

সম্পর্কিত খবর