৭ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ পাক হানাদার মুক্ত দিবস

সংগৃহীত ছবি

৭ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ পাক হানাদার মুক্ত দিবস

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:

৭ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিন সকাল থেকেই দলে দলে মুক্তিযোদ্ধারা জেলা শহরে প্রবেশ করে এবং স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়ায়। সাধারণ মানুষের মধ্যে বয়ে যায় আনন্দ-উল্লাস।

দিনটি পালন উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

 

গোপালগঞ্জে মুসলিম লীগের সহযোগিতায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ৩০ এপ্রিল প্রথমে শহরে প্রবেশ করে। পাকিস্তানী বাহিনী প্রথমেই শহরের ব্যাংক পাড়ায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর বাড়ি (বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়) পুড়িয়ে দেয়।  

এরপর পাকিস্তানী সৈন্যরা ১০/১২টি দলে বিভক্ত হয়ে শহরের হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ির অবস্থান জেনে স্বর্ণপট্রি, সাহাপাড়া, সিকদারপাড়া, চৌরঙ্গী এবং বাজার রোডে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায় ও আগুন দিয়ে প্রায় এক হাজার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। শুরু করে হত্যা আর নারী ধর্ষণ।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাক হানাদাররা গোপালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মিনি ক্যান্টনমেন্টে সাধারণ মানুষকে ধরে নিয়ে হত্যা করে গণ-কবর দেয়।

৬ ডিসেম্বর সূর্য উঠার সাথে সাথে বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে বিভক্ত হয়ে মুক্তিযোদ্ধারা শহরের দিকে আসে। পাকসেনাদের আস্তানায় চারিদিক থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমন বলয় রচিত হয়। পাক সেনারা এদিন (৬ ডিসেম্বর ) গভীর রাতে গোপালগঞ্জ সদর থানা, উপজেলা পরিষদ (বর্তমানে) সংলগ্ন জয় বাংলা পুকুর পাড়ের মিনি ক্যান্টমেন্ট ছেড়ে পালিয়ে যায়।

৭ ডিসেম্বর ভোরে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা উত্তোলন করে মুক্তিযোদ্ধারা, আর সেই সাথে মুক্ত হয় গোপালগঞ্জ শহর ও এর আশপাশ এলাকার গ্রামগুলি।

news24bd.tv/কেআই

এই রকম আরও টপিক