দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একটি ইউনিয়নের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ৯ হাজার ভোট পিটাইয়া (সিল মেরে) দেবেন- আওয়ামী লীগ নেতার এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে মাদারীপুরের কালকিনির মিয়ারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে বক্তব্য দেন কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিরাজুল আলম মৃধা। তিনি কালকিনির শিকারঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
ভাইরাল হওয়া ২৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, একটি কক্ষে বেশকয়েকজন দাঁড়িয়ে আছেন।
২৬ সেকেন্ডের ভাইরাল হওয়া বক্তব্য হুবহু তুলে ধরা হলো, এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি শিকারমঙ্গল ইউনিয়নের ভোট আমি, ৯ হাজার ভোট আমি পিটাইয়া দিবো।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত সিরাজুল আলম মৃধাকে ব্যক্তিগত মোবাইল কল দেয়া হলে তিনি বলেন, আমি একাধিকবার ওই বিদ্যালয়ে গিয়েছি। তবে, কখন কোন ভিডিও কে করছে জানি না। আমি এতো বোকা নয়, যে প্রকাশ্যে এমন বক্তব্য দেবো। কিছু লোক আমার পেছনে লেগেছে, তারা এসব ভিডিও এডিট করে ভাইরাল করেছে। আমি ভোট পিটাইয়া দিবো, এমন কোন বক্তব্য দেই নাই।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম বলেন, এভাবে প্রকাশ্যে ভোটের সিল মারবে (নিয়ে নিবে) এমন বক্তব্যে সাধারণ ভোটাররা আতঙ্কিত হচ্ছে। সুষ্ঠু ভোট হবে, এটা নিয়ে এখন শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সিরাজুল আলম মৃধা যে, বক্তব্য দিয়েছে এটা নিয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়া হবে নির্বাচন কমিশনে। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন।
মাদারীপুর-৩ আসনের সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা ও কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ জানান, কোন প্রার্থীর পক্ষে এমন বক্তব্য কেউই করতে পারে না। যদি ভোটের ব্যালট পেপারে সিল মেরে দিবে, এমন কোন ভিডিও থাকে লিখিত অভিযোগ হাতে পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মাদারীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আহাম্মেদ আলী জানান, লিখিত অভিযোগ আমাদের দপ্তরে এখনও আসেনি। তবে নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ চেয়ারম্যান, রির্টানিং কর্মকর্তা বা সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে প্রথমে লিখিত যাবে। নির্বাচন অফিসে অনুলিপি আসতে পারে। কাগজ হাতে পেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করা হবে।
এ ব্যাপারে জানতে মাদারীপুর-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান গোলাপ মিয়ার ব্যক্তিগত মোবাইলে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।