ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘ। তবে নির্বাচনের আগে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিকে আমলে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘ।
জাতিসংঘ মহাসচিবের পক্ষে তার ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান আজিজ হক এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশের পার্লামেন্ট নির্বাচন ৩০ ডিসেম্বর। এ অবস্থায় সকলের অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে গ্রহণযোগ্য একটি অনুষ্ঠান নিশ্চিতকল্পে একযোগে কাজ করার জন্য আমরা আবেদন রাখছি।
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আপিল করা হচ্ছে সকলে যাতে নিজ নিজ মৌলিক স্বাধীনতা অটুট রেখে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে। ’অভিন্ন ভাষায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক একজন মুখপাত্র নাম গোপন রাখার শর্তে এনআরবি নিউজকে ১৩ নভেম্বর মঙ্গলবার বলেছেন, ‘নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টসহ প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণের সংবাদকে আগের মতোই আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।
সেই সঙ্গে আহবান জানানো হচ্ছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে যেন আলাপ-আলোচনা অব্যাহত থাকে। বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশার পরিপূরক একটি নির্বাচন দেখতে আগ্রহী গণতান্ত্রিক সমাজ।
ঐক্যফ্রন্টের দাবি অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচনের আগে জামিনে মুক্তি দেওয়া উচিত কিনা জানতে চাওয়া হয় স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং জাতিসংঘের কাছে। কিন্তু এ প্রসঙ্গে কোনো কথা বলেননি তারা।
অথবা বলা যেতে পারে যে, এ প্রসঙ্গ আমলে নেয়নি স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং জাতিসংঘ।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/এনআরবি/তৌহিদ)