ঘুমের সময় নিরাপদ থাকার আমল

সংগৃহীত ছবি

ঘুমের সময় নিরাপদ থাকার আমল

অনলাইন ডেস্ক

ঘুম আল্লাহর পক্ষ থেকে নিয়ামত ও একটি ইবাদত। যদি কোনো ব্যক্তি ইসলামের নির্দেশিত পদ্ধতিতে ঘুমায়, তার ঘুমও ইবাদতে পরিণত হয়। রাতে ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি পড়া হলে তার জন্য আল্লাহ তায়ালা একজন ফিরিশতা নিযুক্ত করে দেন। যিনি পুরো রাত তার নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকেন।

সহিহ বুখারিতে আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে একটি হাদিসে এসেছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

إِذَا أَوَيْتَ إِلَى فِرَاشِكَ فَاقْرَأْ آيَةَ الكُرْسِيِّ، لَنْ يَزَالَ مَعَكَ مِنَ اللهِ حَافِظٌ، وَلاَيَقْرَبُكَ شَيْطَانٌ حَتَّى تُصْبِحَ

যখন তুমি শয্যা গ্রহণ করবে তখন আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে। তাহলে সর্বদা আল্লাহর পক্ষ হতে তোমার জন্য একজন হেফাযতকারী থাকবে এবং সকাল পর্যন্ত তোমার কাছে  শয়তান আসতে পারবে না। (সহিহ বুখারি, হাদিস, ৫০১০)

রাতেবেলা ঘুমের সময় নিরাপদ থাকতে আরও বেশ কিছু আমল করার কথা বলা হয়েছে।

এমন আরেকটি আমল হলো ঘুমের আগে আয়াতুল কুরসি পাঠ করা। সুনানে আবি দাউদে হজরত নাওফাল আশজায়ী রাদিয়াল্লাল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেন-

اقْرَأْ قُلْ يَاأَيُّهَا الْكَافِرُون ثُمَّ نَمْ عَلَى خَاتِمَتِهَا، فَإِنَّهَا بَرَاءَةٌ مِنَ الشِّرْكِ

তুমি قُلْ یٰۤاَیُّهَا الْكٰفِرُوْنَ সূরাটি পড়ে ঘুমাও। কেননা তা শিরক থেকে মুক্তকারী। -(সুনানে আবি দাউদ, হাদিস, ৫০৫৫)

ঘুমের আগে সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়ার কথাও বলা হয়েছে হাদিসে। হজরত আবু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

مَنْ قَرَأَ بِالْآيَتَيْنِ مِنْ آخِرِسُورَةِ الْبَقَرَةِ فِي لَيْلَةٍ كَفَتَاهُ

যে ব্যক্তি রাতে সূরা বাকারার শেষ দুটি আয়াত পাঠ করবে তার জন্য তাই যথেষ্ট হবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস, ৫০০৯)

news24bd.tv/DHL

এই রকম আরও টপিক