মদের কারখানা চালাতেন এমপি, পাওয়া গেলো বিপুল পরিমাণ অর্থ

সংগৃহীত ছবি

মদের কারখানা চালাতেন এমপি, পাওয়া গেলো বিপুল পরিমাণ অর্থ

অনলাইন ডেস্ক

৫০ জন ব্যাংক কর্মকর্তা, ৪০টি গণনার মেশিন এবং পাঁচ দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলাফল হয়েছে বিস্ময়কর। ভারতের উড়িষ্যার একটি মদের কারখানা থেকে নগদ ৩৫৩ কোটি রুপি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কারখানাটি কংগ্রেসের একজন এমপির পরিবারের মালিকানাধীন।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, এটি ভারতের কোনো তদন্তকারী সংস্থার সবচেয়ে বড় অর্থ বাজেয়াপ্তের ঘটনা যা আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।

দেশটিতে এর আগে আয়কর বিভাগের অভিযানে একসঙ্গে এতো রুপি উদ্ধার হয়নি।

ভারতের উড়িষ্যা এবং ঝাড়খণ্ডে গত বুধবার থেকে আয়কর বিভাগ অভিযান শুরু করে। উড়িষ্যায় কংগ্রেস নেতা ও রাজ্যসভার সদস্য ধীরজ সাহুর বাড়ি থেকে প্রায় ৩০০ কোটি রুপি জব্দ করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (সিবিআই)।

অর্থের উৎস নিয়ে তদন্ত করার সময় কংগ্রেস নেতার নাম উঠে আসে।

এরপর ১০০ জন সদস্য নিয়ে শনিবার রাচিতে ধীরজ সাহুর বাড়িসহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালান রাজস্ব গোয়েন্দারা।

ধীরজ সাহুর বাড়ি থেকে রুপি ভর্তি তিনটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়াও মদের কারখানার আরো এক শীর্ষ কর্মকর্তা বান্টি সাহুর বাড়ি থেকে রুপি ভর্তি প্রায় ১৯টি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে।

উড়িষ্যার বৌধ জেলার ওই মদের কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ ছেঁড়াফাটা ৫০০ রুপির নোটও জব্দ করেছে আভিযানিক দল। সব মিলিয়ে মোট ১৭৬টি রুপি ভর্তি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই মদের কারখানা থেকে উদ্ধার হয়েছে।

ভারতের আয়কর বিভাগ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার (এসবিআই) প্রধান কার্যালয়ে জব্দ হওয়া সব নগদ রুপি জমা করবে। এসবিআই এর আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ভগত বেহেরা জানিয়েছেন, কর্মকর্তারা রুপি ভর্তি ১৭৬ ব্যাগের মধ্যে ১৪০টির গণনার কাজ শেষ করেছে এবং আরো ৩৬ ব্যাগ বাকি আছে।

ভগত বেহেরা বলেন, তিনটি ব্যাংকের ৫০ জন কর্মকর্তারা গণনার কাজে অংশ নিয়েছেন। প্রায় ৪০টি মুদ্রা গণনা করার যন্ত্র এখানে আনা হয়েছিল। এর মধ্যে ২৫টি ব্যবহার করা হচ্ছে এবং ১৫টি ব্যাকআপ হিসাবে রাখা হয়েছে।

গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ধীরজের পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য মদ উৎপাদন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। উড়িষ্যায় এই এমপির পরিবারের সদস্যদের কয়েকটি কারখানা আছে। আয়কর বিভাগ সন্দেহ করছে, মদ তৈরির কারখানায় অভিযানে যে বিপুল পরিমাণ নগদ রুপি পাওয়া গেছে, তা দেশি মদ বিক্রি থেকে পাওয়া বেহিসাবী অর্থ।

news24bd.tv/ab

এই রকম আরও টপিক