শীতে ছিন্নমূল ও শ্রমজীবী মানুষ বিপাকে

শীতে ছিন্নমূল ও শ্রমজীবী মানুষ বিপাকে

হুমায়ুন কবির সূর্য, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামে গত দুদিন ধরে শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। মাঝরাত থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে চারদিক। সকালে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। শীতের কারণে ছিন্নমূল ও শ্রমজীবী মানুষ পড়েছে বিপাকে।

 

ঠাণ্ডার কারণে বাড়ছে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৮ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের মীরেরবাড়ী এলাকার কৃষক সমশের আলী ফুলকপি তুলছিলেন, তিনি জানান, ‘হঠাৎ করি ঠাণ্ডা নামি গেইল। কামলারা আইসে নাই।

নিজে কাম করবের নাগছি। কাজ-কাম করতে আঙ্গুল অসাড় হয়া যায়। ’ 

অটোচালক মতিউল জানান, ‘জারোত গাড়ি চালাইতে খুব কষ্ট হয়। শীতের মধ্যে গাও কাঁপানী বাতাসোত বেড়বেড়ে মনায় না। ’

সদরের হলোখানা ইউনিয়নের কৃষক আমজাদ আলী তার বোরো বীজতলা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন। তিনি জানালেন, ’এখন পর্যন্ত বীজতলা ভালোই আছে। যেহারে কুয়াশা আর বাতাস বইছে তাতে বীজতলার ক্ষতিও হতে পারে। ’

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভার:) ডা. আতিকুর রহমান জানান, দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে মোট ৩৬৪জন রোগী ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে শীত জনিত রোগে আক্রান্ত রোগীও রয়েছে। এছাড়াও ডায়রিয়া আইসোলেশনে ৪৫জন চিকিৎসা নিচ্ছে।  

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, শীত মোকাবিলায় ৪৫ হাজার কম্বল ইউনিয়ন পর্যায়ে উপবরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ৫ হাজার শুকনো প্যাকেট ও ৭ লাখ টাকা প্রস্তুত রয়েছে।

news24bd.tv/কেআই