রাজধানীর পল্টন থানায় ৬টি এবং রমনা থানার ৪টিসহ মোট ১০ মামলায় জামিন আবেদন করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ আবেদন করা হয়েছে।
পুলিশ কনস্টেবল পারভেজ হত্যা, গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশকে মারপিট, অস্ত্র ছিনতাই এবং পুলিশের কাজে বাধা দেওয়াসহ নাশকতার অভিযোগে পল্টন ও রমনা থানায় গত ২৮ অক্টোবর এসব মামলা করা হয়।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মির্জা ফখরুলের আইনজীবী জয়নুল আবেদিন মেজবাহ।
এ আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেন, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে সংঘর্ষের পর রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানায় এসব মামলা করা হয়েছে। ১০ মামলার মধ্যে আট মামলার এজাহারে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নাম রয়েছে। আর দুই মামলায় তিনি সন্দেহভাজন। কিন্তু তাকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। ২০ শর্তে তাদের সমাবেশের অনুমতি দেয় পুলিশ। ওই দিন সমাবেশ শুরুর আগেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান দলটির নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের ফটক ভেঙে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। সংঘর্ষের মধ্যে পণ্ড হওয়া সমাবেশ থেকেই পরদিন সারা দেশে হরতালের ডাক দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ২৯ অক্টোবর সেই হরতালের সকালে গুলশানের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। ওই দিন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে জামিন আবেদন করেন মির্জা ফখরুল। কিন্তু আবেদনটি নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
এরপর গত ২ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মির্জা ফখরুলের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের জামিন নামঞ্জুর করলে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। গত ৪ ডিসেম্বর আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ওঠে। পরে ৭ ডিসেম্বর শুনানির পর মির্জা ফখরুলের জামিন প্রশ্নে রুল দেন হাইকোর্ট।
news24bd.tv/aa