‘বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধ উপেক্ষা করে নিজের গন্তব্যে যেতে ট্রেনে উঠেছিলেন সাধারণ যাত্রীরা। কিন্তু পথে অবরোধকারীরা রেলের লাইন কেটে রাখে। যাতে ঘটে দুর্ঘটনা। প্রাণ হারায় সাধারণ মানুষ।
পোস্টে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের চলমান অবরোধ কেন গণআন্দোলন করছে না?’
এতে তিনি লেখেন, চলমান অবরোধের সমর্থনে গাজীপুরে রাতের দিকে গ্যাস কাটার দিয়ে ট্র্যাকের লাইন কেটে দেয়। যার মাধ্যমে তাদের শীতল ষড়যন্ত্রের প্রকাশ ঘটেছে।
পোস্টে বলা হয়, অবরোধ অমান্য করার জন্য বড় মূল্য দিতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। নিহত ৩৫ বছর বয়সী ব্যক্তি পোল্ট্রি ফার্মের মালিক ছিলেন।
পোস্টে আরও বলা হয়, রেলের ট্র্যাক উপড়ে ফেলা, লোহার প্লেট ঢোকানো ও ট্রেনের বগিতে আগুন বা বোমা হামলা গণতন্ত্রকে ক্ষুণ্ন করতে এবং মানুষ হত্যার জন্য বিএনপি জামায়াতের সন্ত্রাসের চিহ্ন হয়ে উঠেছে।
এতে বলা হয়, তারা নাগরিকদের ব্যালটে নিজেদের জনপ্রতিনিধি বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে। তাদের অবরোধে ইতোমধ্যে ৬৫০টিরও বেশি যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং রাস্তায় আগুন দেওয়া হয়েছে।
পোস্টে বলা হয়, এ ঘটনাটি স্পষ্টতই আবার প্রমাণ করেছে, এই জোটটি সাধারণ মানুষকে হত্যা করতে এবং অবরোধের নামে জনজীবনকে ব্যাহত করতে কাজ চলছে। কারণ জনগণ তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে প্রত্যাখ্যান করেছে, তাদের আচরণ কোনো গণতান্ত্রিক দলের মতো নয়।
বিশ্বের কোনো গণতান্ত্রিক দেশ এই খুনিদের দায়মুক্তি ভোগ করতে দেবে না জানিয়ে সজীব ওয়াজেদ লেখেন, বিএনপি-জামায়াত জোটের আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার জন্য এ ধরনের বর্বর কর্মকাণ্ড মেনে নিতে পারবে না।
পোস্টে সজীব ওয়াজেদ লিখেন, ‘এটা গণআন্দোলন নয়, বর্বরতা। ’
news24bd.tv/আইএএম