সুড়ঙ্গে সমুদ্রের পানি ঢোকাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী

সংগৃহীত ছবি

সুড়ঙ্গে সমুদ্রের পানি ঢোকাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী

অনলাইন ডেস্ক

ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযোগ, গাজার বিভিন্ন সুড়ঙ্গে এখনো লুকিয়ে আছেন হামাসের সেনারা। তাদের বক্তব্য, পণবন্দিদেরও সেখানে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি হামাস যোদ্ধারা এখনো সুড়ঙ্গ থেকে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ। ফলে লাগাতার গাজার একাধিক সুড়ঙ্গ লক্ষ্য করে আক্রমণ করছে ইসরায়েল।

এবার সেই সুড়ঙ্গে সমুদ্রের পানি পাম্প করে ঢোকানো শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনি। এভাবে সুড়ঙ্গে জল ঢোকাতে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় লেগে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে গাজার খাওয়ার পানি সংক্রমিত হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের একাদিক সংবাদমাধ্যম এই সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করেছে।

কিন্তু ইসরায়েল এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে গাজার প্রত্যক্ষদর্শীরাও জানিয়েছেন, বিভিন্ন জায়গায় ইসরায়েলের সেনারা এই কাজ শুরু করেছে।

এদিকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত পাশ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েলসহ ১০টি দেশ এর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। কিন্তু বাকি ১৫৩টি দেশ সিদ্ধান্ত সমর্থন করেছে। জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের কূটনীতিকেরা বলেছেন, এ এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। যেখানে এতগুলি দেশ এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করলো।

ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিদের বক্তব্য, গাজার লড়াই নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে যে সমবেদনা দেখা যাচ্ছে, তারই বহিঃপ্রকাশ এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। যুক্তরাষ্ট্রকেও এবার বিষয়টি বুঝতে হবে। মানুষের কথা শুনতে হবে। তবে ইসরায়েল আবার জানিয়েছে, এখনই লড়াই থামছে না।

চেক রিপাবলিক, অস্ট্রিয়া, প্যারাগুয়ের মতো দেশ এদিন যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। তারা ইসরায়েলকে সমর্থন করেছে। অন্যদিকে জার্মানি এবং যুক্তরাজ্যসহ ২৩টি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে।

এর আগে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও একইরকমের একটি ভোট হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র সেখানে নিজের ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করেছিল। বস্তুত, সেই ভোটের পর এদিন সাধারণ পরিষদে বিশেষ বৈঠকের ডাক দিয়েছিল আরব এবং মুসলিম দেশগুলি।

তবে মনে রাখতে হবে, সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত সব দেশ আইনত মানতে বাধ্য নয়। কিন্তু এই সভার সিদ্ধান্ত একটি চাপ তৈরি করে। এদিনের ভোট সে কাজে সমর্থ হয়েছে বলেই বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য।

news24bd.tv/DHL