আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল খারিজ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ঢাকায় নির্বাচন কমিশন ভবনের অডিটোরিয়ামে আপিল শুনানির পর এ রায় দেন তিনি।
জানা যায়, এর আগে মনোনায়নপত্র যাচাই বাচাই শেষে একরাম চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন নোয়াখালী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। এ দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে স্ত্রীর আয় বহির্ভূত সম্পদের হিসাব দাখিল না করা মর্মে একরামুল করীম চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিলের জন্য আপিল আবেদন করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন।
সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সামছুদ্দিন জেহান সত্যতা স্বীকার করে বলেন, একরাম চৌধুরী একজন মাটি ও মানুষের নেতা। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা খারিজ করেছে নির্বাচন কমিশনার। তিনি চতুর্থবারের মতো নৌকার প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট গুলজার আহমেদ জুয়েল জানান, একরামুল করীম চৌধুরীর স্ত্রী নিজে একজন উপজেলা চেয়ারম্যান এবং সরকারের নিয়মিত ট্যাক্স হোল্ডার, তাই তার আয়ের হিসাব দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে আপিল আবেদন খারিজ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নোয়াখালী-৪ আসন এক সময় বিএনপির ঘাঁটি বলেই পরিচিতি ছিল। দীর্ঘ ২১ বছর পর ২০০৮ সালে এ আসন পুনরুদ্ধার করেন একরামুল করীম চৌধুরী। সেই থেকে আসনটি আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে। সাধারণ জনগণ এবং তৃণমূল নেতাকর্মীদের পাশে থাকার কারণে আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের চতুর্থবারের মতো একরাম চৌধুরীকে আবারও নৌকার মনোনয়ন দিয়েছেন। এ আসনে মোট ৯ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। সর্বশেষ আওয়ামী লীগের প্রার্থী, স্বতন্ত্রী প্রার্থীসহ ৫ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা দেওয়ান মাহবুবুর রহমান।
news24bd.tv/আইএএম