বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, যে সরকার গণতন্ত্রের ভান করে তারা স্বৈরাচারের চেয়েও ভয়ংকর। দেশে কোন গণতন্ত্র চলছে, সোভিয়েতের মতো একদলীয়? ক্ষমতার মোহে এই সরকারের হুঁশ নেই। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, এই সরকার মুখে যা বলে, তা কাজে করে না।
তিনি বলেন, হিটলারও মন্ত্রণালয় বানিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়াতো। যেটা হিটলার নিজে বিশ্বাস করতো না। এখানেও তারা ভাবছে তারা জনপ্রিয়। জনগণের ভোট তাদের দরকার নেই। আসন ভাগাভাগি নিজেরাই করে নিচ্ছে। তারা সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হলে তো, গণতন্ত্রের গলা টিপে দিতে পারতো না। ভোটের অধিকার হরণ করতে পারতো না। ক্ষমতার নামে অর্থপাচার, দুর্নীতি করতে পারতো না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আজ ৫২ বছর পরেও যদি খুঁজতে হয় কোথায় সেই গণতন্ত্র, কোথায় সেই অর্থনীতি- তাহলে এই দেশের স্বাধীনতা কোথায়? এই প্রশ্নের জবাব কি সরকার দিতে পারবে?
সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সবাই জানে এটা কোনো ভোট হচ্ছে না, বানরের পিঠা ভাগাভাগি হচ্ছে। ল্যাংড়া-কানা-খোরা যাই হোক, সবাইকে ভোটে টানছে সরকার। ৭ জানুয়ারি কেউ ভোট দিতে যাচ্ছে না। কোনো ভোট হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী নিজেই দলীয় প্রার্থী থাকার পরেও স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়ে রাখছেন। এটা প্রহসন, নাটক। ওরা তো সংসদেও সিনেমা করে, গান গায়। বিএনপিকে ধন্যবাদ দেই, তারা জেলায়-বিভাগে সমাবেশ করে জনতার অভ্যুত্থান ঘটিয়েছেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মার্চে দুর্ভিক্ষ হবে, যা বিএনপি করবে। তার মানে ওনার ভেতরে ভয় ঢুকেছে নির্বাচনের পর স্যাংশন এলে কি সেই দুর্ভিক্ষ হবে? সেটার পদধ্বনি কি তিনি শুনতে শুরু করেছেন? ন্যায্য দাবি আদায় আমরা করবোই, আমেরিকা স্যাংশন দিক বা না দিক। ইতিহাস সাক্ষী, সময়ের বদল হবেই।
এছাড়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন বলেন, গণতন্ত্র বন্দী হয়ে গেছে, সেটাকে উদ্ধারে সংগ্রাম চালু আছে। নিরপেক্ষ সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন চলবে, এই নির্বাচন হতে দেবো না। বিচার ব্যবস্থাটা এই সরকারের, তাদের খেয়াল খুশিমতো চালায়। যারা ২৮ অক্টোবর মঞ্চে বসে ছিল, তাদেরকেও প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙার মামলা দিলো- এটা তো অন্যায়, অবিচার।
news24bd.tv/aa