একাত্তরের বিজয় সারাবিশ্বের মুক্তিকামী মানুষকে আজীবন সাহস যোগাবে: শহীদ উল্লা খন্দকার

সংগৃহীত ছবি

একাত্তরের বিজয় সারাবিশ্বের মুক্তিকামী মানুষকে আজীবন সাহস যোগাবে: শহীদ উল্লা খন্দকার

অনলাইন ডেস্ক

বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সম্মিলিতভাবে সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শপথ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিশ্বনন্দিত নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি  শেখ হাসিনা এমপির সংসদীয় নির্বাচনী এলাকা-২১৭ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) গোপালগঞ্জ-৩ এর উন্নয়ন কার্যক্রমের প্রতিনিধি ও সাবেক সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার এক বিবৃতিতে বলেছেন, সুখী সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শেখ হাসিনা যেমনিভাবে বাংলাদেশকে অভাবনীয় উন্নতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে এ ধারা অব্যাহত রাখতে দেশবাসীকে বলতে চাই আপনারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে আসুন এবং নৌকা মার্কায় আপনার মূল্যবান ভোট দিয়ে পুনরায় নৌকাকে বিজয়ী করে এ উন্নয়ন আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে নিতে সহায়তা করুন।

মহান স্বাধীনতার স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে সব শহীদদের বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণসহ তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন মো. শহীদ উল্লা খন্দকার।  

মো. শহীদ উল্লা খন্দকার উল্লেখ করেন, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস, বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক অনন্য গৌরবময় দিন। বিজয় দিবসের এ শুভক্ষণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আমি টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া বাসীসহ সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

তিনি বলেন, বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন মহান স্বাধীনতা। মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতীয় জীবনে এক গৌরবময় অধ্যায়। তাই মহান বিজয় দিবস প্রতিটি বাঙালির সামনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। মহান বিজয় দিবস আমাদের সত্য ও ন্যায়ের পথে লড়াই করতে অনুপ্রেরণা যোগায়।

৫২-এর ভাষা আন্দোলনের মধ্যদিয়ে স্বপ্নের যে বীজ বপন হয়েছিল- তা একাত্তরে শোষণ, বঞ্চনা আর নির্যাতনের বিরুদ্ধে মহান স্বাধীনতার লক্ষ্যে সশস্ত্র লড়াই-সংগ্রামে রূপ নেয়। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত মহান বিজয় দিবস আমাদের অহংকার। পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের বীরোচিত মুক্তিযুদ্ধ আমাদের এগিয়ে চলতে আজীবন অনুপ্রেরণা যোগাবে। শোষণ, জুলুম ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে মহান মুক্তিযুদ্ধ আজীবন পথ দেখাবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের দেশকে আরও উন্নত ও সম্বৃদ্ধ করতে শক্তি যোগায়। একাত্তরের বিজয় সারাবিশ্বের মুক্তিকামী মানুষকে আজীবন সাহস যোগাবে। আমি আজ বিনম্র চিত্তে পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার অপরিসীম ত্যাগ ও আপসহীন নেতৃত্বে পৃথিবীর মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।

মো. শহীদ উল্লা খন্দকার আরও বলেন, নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ। দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি থেমে নেই। সব বাধা পেরিয়ে আত্মগৌরবের মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মা সেতু।  এছাড়াও মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেস নির্মাণ, চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেস নির্মাণ, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ, ঢাকা বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক মানের থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও পায়রা সেতু নির্মাণ, কুতুবদিয়া বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, সোলার পার্ক থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন, মহাসড়ক ৪, ৬ ও ৮ লেনে উন্নতিকরণ, এশিয়ান হাইওয়ে রোড প্রকল্প গ্রহণ, মাওয়া এক্সপ্রেস হাইওয়ে নির্মাণ, বহুসংখ্যক ফ্লাইওভার নির্মাণ, ঢাকা- আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, প্রতিটি ইউনিয়নের ডিজিটাল তথ্য সেবা কেন্দ্র স্থাপন, মোবাইল ও ইন্টারনেটে গ্রাহক সুবিধা বৃদ্ধিকরণ, সরকারি বিভিন্ন সেবা ডিজিটালকরণ, 4G সেবা হতে 5G সেবা পরীক্ষামূলক চালু, প্রতিবছর বিনামূল্যে ১ কোটি শিক্ষার্থীদের হাতে বই বিতরণ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, গরীব শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান, দেশজুরে একযোগে একশত ব্রীজ/সেতু নির্মাণ, দেশজুরে ব্যাপকভাবে পাকা সেতু নির্মাণ, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, দেশের বিভিন্ন জেলায় আইটি পার্ক নির্মাণ, দেশের বিভিন্ন জেলায় শিল্প পার্ক নির্মাণ, দেশের বিভিন্ন স্থানে বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণ, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান, দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ১০০টি ইকোনমিক জোন নির্মাণসহ ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে নিরসলভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ঐতিহাসিক বিজয় দিবসে আমি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাই।  

তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে বিশ্ব দরবারে বীরের জাতি হিসেবে স্থান করে দেওয়ায় সকল শহীদ ও বীরাঙ্গনাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। তাদের অর্জিত বাংলাদেশকে সুউচ্চ মর্যাদায় নিয়ে যেতে সকলকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জাতির পিতার জিবনাদর্শ ও দেশপ্রেম লালন করে এবং দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার শামিল হতে হবে। সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।

news24bd.tv/aa