এতদিন বিশ্বের সবচেয়ে বড় অফিস ভবন ছিল মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদরদপ্তর পেন্টাগন। ১৯৪৩ সাল থেকে এই গৌরব ধরে রেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এবার সেটি হাতছাড়া হচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অফিস ভবন চালু হয়েছে ভারতে।
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের সুরাটে তৈরি হয়েছে সুবিশাল এই অফিস ভবন। এটি তৈরি করতে জমি লেগেছে ৩৫ দশমিক ৫৪ একর, ব্যয় হয়েছে ৩৪ হাজার কোটি রুপি।
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় অবস্থিত পেন্টাগনের মোট আয়তন যেখানে ৬০ লাখ ৫০ হাজার বর্গফুট, সেখানে সুরাট ডায়মন্ড ব্যুরোর আয়তন ৭০ লাখ ১০ হাজার বর্গফুট, উচ্চতা ২৬৪ দশমিক ৭ ফুট। দিল্লিভিত্তিক ভবন নির্মাণ কোম্পানি মরফোজেনেসিসের তত্ত্বাবধানে নির্মিত ১৫ তলার এই ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ৮০ হাজার ডলার।
সুরাট শহরটি মূলত হীরা বেচাকেনা ও হীরা কাটা ও পালিশ শিল্পের জন্য বিখ্যাত। পৃথিবীর ৯০ ভাগ হীরা ও অন্যান্য মূল্যবান পাথর কাটা হয় এই শহরে।
ভবনটিতে হীরা কাটা, পালিশ করা ও হীরা ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৪ হাজার ৭০০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়। প্রতিটি কার্যালয়ের আয়তন ৩০০ বর্গফুট থেকে ২৫ হাজার বর্গফুটের মধ্যে। অন্তত ৬৫ হাজার কর্মী এই ভবনটিতে কাজ করতে পারবেন। ভবনটির মেঝেগুলো মার্বেল পাথর দিয়ে তৈরি। আগত লোকজনের জন্য বিভিন্ন তলায় বসা, বিশ্রাম ও খাওয়া-দাওয়ার সুযোগ-সুবিধাও রয়েছে।
সুরাট ডায়মন্ড বোর্ড এই ভবনটির মালিক। ভবনটি নির্মাণের জন্য তারা আন্তর্জাতিক দরপত্রের ডাক দিয়েছিল। মোট সাড়ে পাঁচ বছর লেগেছে ভবনটির নির্মাণ শেষ করতে। তবে যে নকশা অনুসারে নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল তাতে এটি বিশ্বের বৃহত্তম অফিস ভবন হওয়ার কথা ছিল না। পরে ডায়মন্ড বোর্ডের সদস্যদের সুপারিশ অনুযায়ী নকশায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়, ভবনটির আয়তনও বাড়ে।
news24bd.tv/DHL